স্কয়ারে ভুল চিকিৎসায় হাত অকেজো ঢাবি শিক্ষার্থীর

নিজস্ব প্রতিবেদক |

রাজধানীর স্কয়ার হাসাপাতালের ডাক্তার কৃষ্ণা প্রভুর ভুল চিকিৎসায় ঢাবির এক শিক্ষার্থীর হাত অকেজো হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজের ছাত্র মেহেদী হাসান শামীমের। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। 

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শামীম বলেন, রক্তনালীর ব্রেন টিউমার (ইনসুলার ক্যাভারনোমা) হওয়ায় ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ অক্টোবর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হলে ডা. কৃষ্ণা প্রভু আমাকে দ্রুত অপারেশন করতে বলেন। না করলে স্ট্রোক করে যে কোনো সময় আমি মারা যেতে পারি। তিনি সহজেই এই অপারেশন করে দেবেন। কিন্তু ডাক্তারকে বারবার অপারেশনের পসিবল রিস্ক ও পোস্ট অপারেটিভ সিম্পটম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেও উনি সবকিছু সচেতনভাবে এড়িয়ে যান। স্কয়ারের ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিল করাই ছিল ডাক্তারের মুখ্য উদ্দেশ্য।

২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি ডাক্তারের পরামর্শে অপারেশন করা হয় উল্লেখ করে শামীম বলেন, আমি আইসিইউতে থাকাকালীন আমার অ্যাটেন্ডেন্টকেও (ছোট ভাই) শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানানো হয়নি। ২৫ তারিখ যখন আমি ওয়াশরুমে যেতে চাই তখন ডিউটি ডাক্তার আমার ভাইকে জানান, আমার বাম পাশ আর কাজ করছে না। পরবর্তী সময়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে অপারেশনের সিডি চাইলে ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তালবাহনা শুরু করে।

ডা. কৃষ্ণা প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাতের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, অপারেশনের সময় আমার মস্তিষ্কের কয়েকটি নার্ভ কাটা যায় বলে জানানো হয় এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড বা সিঙ্গাপুর যাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তার।

শামীমকে কেন তার অপারেশনের রিস্কের বিষয়ে জানানো হয়নি এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তার উত্তরে ডাক্তার বলেন, তার কারণেই তিনি (শামীম) পঙ্গু হলেও বেঁচে আছে। অন্য কেউ অপারেশন করলে সেটাও হতো না। তাকে পঙ্গু হাত নিয়ে বেঁচে থেকে সন্তুষ্ট থাকতে বলেন।

এ ঘটনায় গত ৭ তারিখ স্কয়ার হাসপাতালের সিইও বরাবর তার অপারেশনের সিডি ও পেশেন্ট ফাইল চেয়ে লিখিত আবেদন করেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার আবেদন গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায় বলে দাবি শামীমের।

এদিকে, ভুল চিকিৎসার বিষয়ে জানার জন্য স্কয়ার হাসপাতালের ডাক্তার কৃষ্ণা প্রভুকে কল দেওয়া হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0022668838500977