যৌতুকরে দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার ১৮ বছর পর পলাতক থাকা স্বামী ওসমান আলীকে মৃত্যুদণ্ড ও জরিমানা আদেশ দিয়েছে যশোরের আদালত। গতকাল সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক ( জেলা ও দায়রা জজ) নীলুফার শিরিনি এক রায়ে এ আদশে দিয়েছেন।
দণ্ডিত ওসমান আলী ঝিকরগাছার দিঘির গ্রামের আক্কাজ আলীর ছেলে। তিনি পলাতক আছেন।
দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিশেষ পিপি অ্যাডভোকটে মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, যশোরের ঝিকরগাছার সোনাকুড় গ্রামের সন্তোষ আলীর মেশে রাশিদা খাতুনকে বিয়ে করে ওসমান আলী। একটি সন্তান জন্মানোর পর থেকে ওসমান যৌতুকরে দাবতিে রাশদিার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে শুরু করে। ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের ৭ মার্চ রাতে ওসমান আলী বাড়িতে কয়েকজন বন্ধু নিয়ে আসে। পরদিন সকালে রাশিদার লাশ ঘরে ফেলে স্বামী ওসমানসহ অন্যরা পালিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন সংবাদ পয়েে ওসমান আলীর বাড়িতে আসে। ঘটনার ৫ দিন পর নিহতের বাবা সন্তোষ আলী বাদি হয়ে হত্যার অভিযোগে ওসমান আলীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আসামি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।
এ মামলার তদন্ত শেষে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়ায় ওই বছরের ৪ জুলাই ওমসান আলীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাবিবুর রহমান। চার্জশিটে অপর ৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতি আবেদন জানানো হয়।
দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি ওসমান আলীর বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে মৃত্যুদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন।