স্পেনে বেনজীরের সেকেন্ড হোম, তুরস্কে নাগরিকত্ব

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক |

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: প্রতিদিনই নতুন নতুন সম্পদের তথ্য আসছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের। দেশে জেলায় জেলায় রয়েছে  তার জমি, রিসোর্ট। ব্যাংক, পুঁজিবাজারে ছড়িয়ে রেখেছিলেন অর্থ। সম্পদ জব্দ করার আঁচ পেয়ে আগেই সরিয়ে নিয়েছেন অনেক অর্থ। নিজের অঢেল অর্থ সম্পদের তথ্য গোপন এবং সহজে অবৈধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে সরকারি পাসপোর্ট ব্যবহার করেননি কখনো। তথ্য গোপন করে সাধারণ পাসপোর্ট নিয়ে ঘুরেছেন দেশ-বিদেশে। সম্পদও করেছেন দেশে দেশে। অবসরে যাওয়ার পর তুরস্কে নাগরিকত্ব নিয়েছেন ৫ কোটি টাকায়। স্ত্রী জীশান মির্জার নামে সেকেন্ড হোম করেছেন স্পেনে। অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধান শুরুর পর একের পর সম্পদের তথ্য আসছে বেনজীর আহমেদের। মঙ্গলবার (৪ ‍জুন) মানবজমিন পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। 

প্রতিবেদনে আরো জানা যায়, শুরুতে ঢাকা, গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরে অন্তত ৬২১ বিঘা জমির সন্ধান মেলে বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানের। এরপর গাজীপুর, কক্সবাজার, বান্দরবানেও মিলেছে বেনজীরের জমির সন্ধান। এমনকি কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপেও জমি কিনে রেখেছেন বেনজীর। 


জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেনজীর আহমেদকে আগামী ৬ই জুন তলব করেছে দুদক। একই অভিযোগে ৯ই জুন তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুদক। দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ায় বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানের হাজিরার বিষয়টি অনিশ্চিত। কেউ বলছেন তিনি সিঙ্গাপুরে আছেন। আবার কেউ বলছেন দুবাইয়ে। তুরস্কেও থাকতে পারেন তিনি। 

পুলিশের সাবেক এই আইজিপি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে কীভাবে এত সম্পদের মালিক হয়েছেন, কীভাবে এত অনৈতিক কাজে জড়িয়েছেন তা নিয়েও বিভিন্ন মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে। 

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বেনজীর আহ‌মেদ পু‌লি‌শের শীর্ষপদগু‌লোতে চাকরি করাকালীন ক্ষমতা পে‌য়ে‌ছেন। ক্ষমতা প্রয়োগ ক‌রে অঢেল সম্প‌দের মালিক হ‌য়ে‌ছেন এ বিষ‌য়ে কো‌নো স‌ন্দেহ নেই।  তি‌নি আরও বলেন, পু‌লি‌শের শীর্ষ প‌দে চাক‌রি ক‌রে ক্ষমত‌ার অপব‌্যবহার ক‌রে‌ছেন। আর তার মাধ‌্যমে মানুষের কাছ থে‌কে জোর ক‌রে সম্পদ নিয়েছেন। এটা স্পষ্টত, তার চাক‌রির স‌ঙ্গে একটি রাজ‌নৈ‌তিক দ‌লের শ‌ক্তি কাজ ক‌রে‌ছে। 
টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক বলেন, আরেকটা বিষয় প‌রিষ্কার ক‌রে বলা যায়, বেনজীর আহ‌মেদ অপরাধ নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠা‌নে কাজ ক‌রে‌ছেন। যেখা‌নে কীভাবে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা ভালো করে জানেন তিনি। ফলে নিজের অপরাধগুলোও সেভাবেই করতে পেরেছেন বলে মনে হয়। বেনজীরকে আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি তাকে যারা সহায়তা করেছেন, সুরক্ষা দিয়েছেন, তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।   

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও তিন মেয়ের নামে এখন পর্যন্ত ৬২১ বিঘা জমির খোঁজ পাওয়া গেছে, যার ৫৯৮ বিঘা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ও মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায়। বেনজীর আহমেদ সেখানে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক নামে একটি রিসোর্ট করেছেন। 

দুদকের দেয়া তথ্যমতে, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ একদিনেই ঢাকার গুলশানে চারটি ফ্ল্যাট ক্রয় করেন। এরমধ্যে একটি তার স্ত্রী জীশান মির্জা এবং বাকি তিনটিই মেয়েদের নামে কেনেন। ১৫ কোটি টাকার বেশি দামের এই ফ্ল্যাট কিনতে বেনজীর নামমাত্র মূল্য দেখিয়েছেন।  

অন্যদিকে নতুন করে ঢাকার উত্তরায় একটি সাততলা বাড়ি ও ভাটারায় একটি ছয়তলা বাড়ি কেনেন বেনজীর। ভাটারার বাড়িটি সম্প্রতি সপরিবারে বিদেশ যাওয়ার আগেই বিক্রি করে যান তিনি। দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উত্তরার সাততলা বাড়ির জমিটি রাজউক থেকে বরাদ্দ পেয়েছিলেন জীশান মীর্জার বাবা মনসুর আল-হক। পরে সেই জমি মেয়েকে লিখে দেন মনসুর। একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা ঋণ নিয়ে সেখানে সাততলা বাড়ি বানিয়েছেন বেনজীর। তবে দুদক কর্মকর্তারা বলছেন, বাড়ি তৈরিতে ব্যাংক ঋণের বাইরে আরও টাকা লেগেছে। সেই টাকার উৎস খোঁজা হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দুদক কর্মকর্তা বলেন, বেনজীর আহমেদের আরও সম্পদের খোঁজ করছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। যেগুলো তার ও পরিবারের সদস্যদের নামে পাওয়া যাবে সঙ্গে সঙ্গেই ক্রোকের আদেশের জন্য আবেদন করা হবে। 

সেন্টমার্টিন-ইনানীতে বেনজীরের জমি: 
স্ত্রী ও তিন মেয়ের নামে কক্সবাজারের ইনানী সৈকতের পাশে জমি কিনেছেন বেনজীর আহমেদ। এ ছাড়া প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ১০ বছর আগে নিজের নামে ১ একর ৭৫ শতক জমি কেনেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক। কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভের ইনানী সৈকতে স্ত্রী ও তিন মেয়ের নামে কেনেন আরও ৭২ শতক জমি। সে সময় বেনজীর আহমেদ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার ছিলেন।

সেন্টমার্টিন ও ইনানী সৈকত এলাকায় কেনা বেনজীরের এসব জমিতে এখন পর্যন্ত কোনো স্থাপনা তৈরি করা হয়নি। সেন্টমার্টিন দ্বীপের বিশাল জমিটি কংক্রিটের পিলারে কাঁটাতারের সীমানা দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। কয়েক মাস আগেও ফটকের পাশে জমির মালিক হিসেবে বেনজীর আহমেদের নামে সাইনবোর্ড টাঙানো ছিল। এখন সেই সাইনবোর্ড নেই। স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০১৪ সালে স্থানীয় ২২ জনের কাছ থেকে বেনজীর ১ একর ৭৫ শতক জমি কেনার কথা স্বীকার করেন আবদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘দ্বীপের দক্ষিণ পাশের বিশাল এই জায়গা পরিত্যক্ত ছিল, মাটির নিচে পাথর থাকায় চাষাবাদ হয় না। তখন প্রতি কানি (১ কানিতে ৪০ শতক) জমি বিক্রি হয়েছিল ৬-৭ লাখ টাকা দামে।

এদিকে টেকনাফ সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ২৯শে মে সেন্টমার্টিনের কোনারপাড়ার (বর্তমান বাজারপাড়া) বাসিন্দা আবদুর রহমানসহ কয়েকজনের কাছ থেকে জিনজিরা মৌজার ২২ শতাংশ জমি কেনেন বেনজীর। জমির দলিল মূল্য দেখানো হয় ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

একইদিন জোসনা বেগম গংয়ের কাছ থেকে ১২ লাখ ৬৫ হাজার টাকায় কেনা হয় ৪৪ শতাংশ জমি, মোহাম্মদ হোছন গংয়ের কাছ থেকে ১০ লাখ ৭ হাজার টাকায় কেনা হয় ৩৫ শতাংশ, মোহাম্মদ ইসলাম গংয়ের কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকা দামে ৪৫ শতাংশ, আবদুল জলিল গংয়ের কাছ থেকে ৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় কেনা হয় আরও ২৯ শতক জমি। কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভের ইনানী সৈকতে বেনজীরের স্ত্রী ও তার তিন মেয়ের নামে ৭২ শতাংশ জমি রয়েছে। ওই জমি উখিয়া উপজেলার মেরিন ড্রাইভের পাশে এলজিইডি ভবনসংলগ্ন। জমি কেনার ক্ষেত্রে সহায়তা করেন স্থানীয় জালিয়া পালং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শামসুল আলম। তিনি বলেন, ‘জমিগুলো এখনো পড়ে আছে।’ ২০০৯ সালে স্ত্রী জীশান মীর্জার নামে ৪০ শতক জমি কেনেন বেনজীর। জমির দলিলমূল্য উল্লেখ করা হয় ৫ লাখ টাকা। জীশান মীর্জার নামে পরে আরও ১০ ও ৭ শতাংশ জমি কেনেন, যার দলিলমূল্য যথাক্রমে ১৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা ও ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এ ছাড়া বেনজীরের তিন মেয়ে ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীর, তাহসিন রাইশা বিনতে বেনজীর ও জারা জেরিন বিনতে বেনজীরের নামে কেনা হয় ১৫ শতাংশ জমি। যার দলিলমূল্য দেখানো হয় ২৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।

টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ সাফফাত আলী বলেন, ‘২০১২ সালের ২০শে মে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে কক্সবাজার জেলার মহাপরিকল্পনা নিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরপর থেকে সেন্টমার্টিনসহ টেকনাফ উপজেলার ৮টি মৌজার জমি বেচাকেনা করতে জেলা প্রশাসনের অনুমতি লাগে। বেনজীর আহমেদের জমি কেনার আগে অনুমতি নেয়া হয়েছিল কিনা, তা তার জানা নেই। 

পাহাড়েও  জমির সন্ধান: বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ও লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নে বেনজীর, তার স্ত্রী ও মেয়ের নামে একশ একরের বেশি জমি কিনেছেন। ২০১৬ সালে র‌্যাবের মহাপরিচালক থাকার সময়ে প্রভাব খাটিয়ে বহু দরিদ্র পরিবারের জমি তিনি কিনেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ জমিতে বাগান, মাছের ঘের, গরুর খামারসহ বাগানবাড়ি করা হয়েছে। দুদকের অভিযানের পর এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

সরজমিন জানা যায়, সুয়ালক ইউনিয়নের মাঝেরপাড়া এলাকায় স্ত্রী জীশান মীর্জা, মেয়ে ফারহিন রিশতা ও বেনজীরের নামে ২৫ একর জায়গা রয়েছে। এখানে মাছের ঘের, গরুর খামার ও আলিশান বাগানবাড়ি গড়ে তোলা হয়েছে। আশপাশে কোনো জনবসতি না থাকলেও এ জায়গায় যেতে রয়েছে পাকা রাস্তা ও বিদ্যুৎ সংযোগ।

লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ডলুছড়ি মৌজায় বেনজীর কিনেছেন ২৫ একরের ৪টি লিজকৃত পাহাড়ি প্লট। স্থায়ী বাসিন্দা ছাড়া পার্বত্য এলাকায় অন্য কারও জমি কেনার বিধান না থাকায় শুধু নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে নামমাত্র মূল্যে এসব জায়গা কেনা হয়েছে। রেজিস্ট্রি না করায় প্রশাসনের কাছে জায়গার কোনো দলিল নেই। এসব জায়গা তদারকি করেন স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা।

বেনজীরের কাছে পাঁচ একর জায়গা বিক্রি করেছিলেন ডলুছড়ি টংগাঝিরি এলাকার বাসিন্দা অজিত ত্রিপুরার বাবা। অজিত বলেন, শুধু আমাদের পরিবার না, অনেক পরিবারের জায়গা পুলিশ অফিসার নামমাত্র কিছু টাকা দিয়ে নিয়ে নেয়। আবার অনেকে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে। একই এলাকার আরেক বাসিন্দা জানান, এখানে ৭০টির মতো ত্রিপুরা পরিবার ছিল। তিনি আরও বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা বেনজীর ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক জায়গা দখল করে বাগান করেছেন। এখন ২৫-৩০টি পরিবার আছে।

ডলুছড়ি মৌজায় বেনজীরের জায়গা দেখাশোনা করেন ইব্রাহিম নামের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, এক পুলিশ অফিসারের জায়গা শুনেছি, কিন্তু ওনার সঙ্গে আমার কখনো দেখা বা যোগাযোগ নেই। আমাকে বান্দরবানের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মংওয়াইচিং নিয়োগ দিয়েছে। উনি আমাকে মাসে মাসে বেতন দিয়ে যান। ইব্রাহিমের স্ত্রী বলেন, এখন অনেক লোক জায়গা দেখতে আসছে। অনেকে ভিডিও করছে। কী কারণে কেন আসছে সে বিষয়ে কিছুই জানি না। সুয়ালক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উক্যনু মারমা বলেন, বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকায় বেনজীরের নামে অনেক সম্পত্তি আছে। আমার ইউনিয়নেও বেনজীরের সম্পত্তি আছে। যার মূল্য কয়েক কোটি টাকা হবে।

গাজীপুরে সম্পদের সন্ধান: গাজীপুরের কালীগঞ্জে বেনজীর ও তার পরিবারের প্রায় ৪০টি দলিলে থাকা ৫০ বিঘা জমি ক্রোক করার উদ্যোগ নেয় দুদক। কিন্তু পরে জানা যায়, বেশির ভাগ জমি তিনি ২০২২ সালের দিকে বিক্রি করে দেন। এসব জমি কিনেছেন ১০ ব্যক্তি। 

পাসপোর্ট জালিয়াতি: সরকারি লাল পাসপোর্ট প্রাপ্য হওয়া সত্ত্বেও, বেসরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে সাধারণ পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রেও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছিলেন বেনজীর। নবায়নের সময় ধরা পড়লে তা আটকে দেয় পাসপোর্ট অধিদপ্তর। চিঠি দেয়া হয় র‌্যাব সদর দপ্তরে। কিন্তু অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে তা সমাধান করে নিয়েছিলেন বেনজীর। জানা যায়, বেনজীর তার পুরোনো হাতে লেখা পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন করেন ২০১০ সালের ১১ই অক্টোবর। রহস্যজনক কারণে নীল রঙের অফিসিয়াল পাসপোর্ট না নিয়ে সাধারণ পাসপোর্ট নেন তখন। এ সময় আসল পরিচয় আড়াল করে নিজেকে বেসরকারি চাকরিজীবী বলে পরিচয় দেন। আবেদন ফরমে পেশা হিসাবে লেখেন ‘প্রাইভেট সার্ভিস’। পাসপোর্টের নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৪ই অক্টোবর বেনজীরকে নবায়নকৃত এমআরপি (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট) দেয়া হয়। মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ছিল ২০১৫ সালের ১৩ই অক্টোবর। মেয়াদপূর্তির আগেই ২০১৪ সালে ফের তিনি পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন করেন। তখনও নিজেকে বেসরকারি চাকরিজীবী বলে পরিচয় দেন। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
অনুদান পেতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আবেদনের সময় বাড়লো - dainik shiksha অনুদান পেতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আবেদনের সময় বাড়লো চার হাজার আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha চার হাজার আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ - dainik shiksha সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ সব দাবি-দাওয়া একমাস বন্ধ রাখার আহ্বান নুরের - dainik shiksha সব দাবি-দাওয়া একমাস বন্ধ রাখার আহ্বান নুরের মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বে রেজাউল করীম - dainik shiksha মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বে রেজাউল করীম শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর একদিনের বেতন ত্রাণ তহবিলে - dainik shiksha শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর একদিনের বেতন ত্রাণ তহবিলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পদত্যাগের জন্য বল প্রয়োগ করা যাবে না: শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পদত্যাগের জন্য বল প্রয়োগ করা যাবে না: শিক্ষা উপদেষ্টা গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের - dainik shiksha গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের শিক্ষায় আমূল সংস্কারের উদ্যোগ নেবো: ড. ইউনূস - dainik shiksha শিক্ষায় আমূল সংস্কারের উদ্যোগ নেবো: ড. ইউনূস কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0023601055145264