দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমানো হয়েছে। স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি ভরি ৯১ হাজার ৯৬ টাকা।
আগামীকাল সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে স্বর্ণের এই নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
এর আগে চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমানো হয়। এর ফলে চলতি মাসে দেশের বাজারে দুই দফায় স্বর্ণের দাম কমানো হলো।
অবশ্য তার আগে গত ১৫ জানুয়ারি, ৮ জানুয়ারি এবং গত বছরের ৪ ও ৩০ ডিসেম্বর এবং ১৩ ও ১৮ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। ফলে দুই মাসের ব্যবধানে দেশের বাজারে ছয় দফা স্বর্ণের দাম বাড়ে। এতে দেশের বাজারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে পৌঁছে যায় দামি এই ধাতুটি।
চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি দাম বাড়ার মাধ্যমে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম হয় ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা। এর আগে কখনো দেশের বাজারে স্বর্ণের ভরি ৯৩ হাজার টাকা স্পর্শ করেনি। রেকর্ড দাম হওয়ার পর এখন স্বর্ণের দাম দুই দফায় কিছুটা কমলো।
বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বৈঠক করে নতুন করে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে দাম কমানোর এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে ৯১ হাজার ৯৬ টাকা করা হয়েছে।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫০ টাকা কমিয়ে ৮৭ হাজার ১৩ টাকা করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮৭৫ টাকা কমিয়ে ৭৪ হাজার ৫৯১ টাকা করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৯৮ টাকা কমিয়ে ৬২ হাজার ১৬৯ টাকা করা হয়েছে।
এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি আর এক দফা স্বর্ণের দাম কমানো হয়। সে সময় সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১৬৭ টাকা কমিয়ে ৯২ হাজার ২৬২ টাকা করা হয়।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১০৮ টাকা কমিয়ে ৮৮ হাজার ৬৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৯২ টাকা কমিয়ে ৭৫ হাজার ৪৬৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে ৮১৬ টাকা কমিয়ে ৬২ হাজার ৮৬৭ টাকা করা হয়। আজ রোববার পর্যন্ত এ দেশের বাজারে এ দামেই স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে।
এদিকে চলতি বছর প্রথমবার স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয় ৮ জানুয়ারি। সে সময় সব থেকে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৯০ হাজার ৭৪৬ টাকা করা হয়।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ২১৬ টাকা বাড়িয়ে ৮৬ হাজার ৬০৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৯২৪ টাকা বাড়িয়ে ৭৪ হাজার ২৪১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫৭৫ টাকা বাড়িয়ে ৬১ হাজার ৮৭৮ টাকা করা হয়।
এরপর ১৫ জানুয়ারি সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৫৬৬ টাকা বাড়িয়ে ৮৯ হাজার ১৭১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ২১৭ টাকা বাড়িয়ে ৭৬ হাজার ৪৫৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৮০৭ টাকা বাড়িয়ে ৬৩ হাজার ৬৮৫ টাকা করা হয়।
এখন স্বর্ণের দাম কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের রুপা ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রূপা ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রূপা ১ হাজার ৫০ টাকা ভরি বিক্রি হচ্ছে।