স্বাধীনতা বিরোধীদের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের প্রতিফলন বঙ্গবন্ধুকে হ*ত্যা : জবি উপাচার্য

জবি প্রতিনিধি |

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেছেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি তাদের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের চুড়ান্ত প্রতিফলন হচ্ছে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা। তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশকে পিছিয়ে দিতে চেয়েছিলো। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তাই আমাদের সবাইকেই সজাগ থাকতে হবে। 

রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পূর্বাপর : ন্যায় বিচারের স্বরূপ সন্ধান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য আরো বলেন, আমরা একটা বিষয় লক্ষ্য করছি, মানবাধিকারের নামে বর্তমান সময়ে কোনো ঘটনা ঘটলেই বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা বিবৃতি দিয়ে বসে থাকে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হলো তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? জাতীয় চার নেতাকে যখন হত্যা করা হলো তখন কোথায় ছিলেন?

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহম্মেদ বলেন, বর্তমান প্রজন্ম সত্যিকারের হানাদারবাহিনীকে চেনে না। মুক্তিযুদ্ধের পর বিদেশী পর্যবেক্ষকদের জিয়াউর রহমান দেশে আসতে দেননি বরং ইতিহাস চাপা রাখতে চেয়েছেন। বিএনপি জামায়াত দেশটাকে পুনরায় পাকিস্তানে রূপান্তরিত করতে চেয়েছিল। এরপরও বঙ্গবন্ধুকন্যা হাল ধরেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাহসিকতায় বিশ্বের সব পরাশক্তিরা এখন বাংলদেশের দিকে তাকিয়ে আছে।

অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পূর্বাপর: ন্যায় বিচারের স্বরূপ সন্ধান’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ এবং প্রবন্ধের ওপর মূল আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুর্শিদা বিনতে রহমান।

অনুষ্ঠানে ড. নাফিস আহমদ ও ড. নিবেদিতা রায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা, সাংবাদিক প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কলেজে সাংস্কৃতিক-ক্রীড়া কোটায় ভর্তির সুযোগ - dainik shiksha কলেজে সাংস্কৃতিক-ক্রীড়া কোটায় ভর্তির সুযোগ শিক্ষা সংস্কারে বাংলাদেশ-চীন কাজ করবে - dainik shiksha শিক্ষা সংস্কারে বাংলাদেশ-চীন কাজ করবে বয়স ৯ না হলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন নয় - dainik shiksha বয়স ৯ না হলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন নয় প্রাথমিকের ডিজিকে অপসারণে পঞ্চম দিনের আন্দোলন - dainik shiksha প্রাথমিকের ডিজিকে অপসারণে পঞ্চম দিনের আন্দোলন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য আহ্বান - dainik shiksha বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য আহ্বান ‘মিনিস্ট্রি অডিটর’ হতে আগ্রহী হাজারো শিক্ষা ক্যাডার ! - dainik shiksha ‘মিনিস্ট্রি অডিটর’ হতে আগ্রহী হাজারো শিক্ষা ক্যাডার ! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পাওয়া কর্মচারীদের তথ্য আহ্বান - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পাওয়া কর্মচারীদের তথ্য আহ্বান এমপিওবিহীন ৩য় শিক্ষকদের বাদ পড়ার কারণ জানতে চায় অধিদপ্তর - dainik shiksha এমপিওবিহীন ৩য় শিক্ষকদের বাদ পড়ার কারণ জানতে চায় অধিদপ্তর সৃজনশীল পদ্ধতির পরীক্ষা ফিরছে - dainik shiksha সৃজনশীল পদ্ধতির পরীক্ষা ফিরছে অষ্টম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন শুরু ১০ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন শুরু ১০ সেপ্টেম্বর দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026769638061523