ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মো. মতিউর রহমানকে অবসরে পাঠানো হয়েছে। স্বেচ্ছায় অবসর নেয়ায় অবসরোত্তর ছুটি, ল্যাম্পগ্রান্ট এবং পেনশনের মত সুবিধা পাবেন না তিনি।
বুধবার (৩১ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মকিমা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মতিউর রহমানের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ধারা-৪৪(১) ও ধারা-৫১ অনুযায়ী আগামী ২৯ আগস্ট ২০২৪ তারিখে সরকারি চাকরি হতে অবসর (ঐচ্ছিক) প্রদান করা হলো। স্বেচ্ছায় অবসর নেয়ায় অবসরোত্তর ছুটি, ল্যাম্পগ্রান্ট এবং পেনশনের মত সুবিধা তিনি পাবেন না, সে কথাও জানানো হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
উল্লেখ্য, গত কোরবানির ঈদের সময় অভূতপূর্ব এক ছাগল বিতর্কে নাম জড়ায় মতিউরের। এরপর এনবিআরের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে তাকে সরানো হয়। রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের সদস্য পদও হারান তিনি। এরপর গত ২৩ জুন তাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়।
কিন্তু এক মাসেও নতুন দফতরে যোগ দেননি তিনি।
এদিকে, গত ৪ জুন মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ জমা হয়। পরে তার দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য অনুসন্ধানে সংস্থাটির উপ-পরিচালক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে গত ২৩ জুন তিন সদস্যের টিম গঠন করে দুদক।
গত ২৪ জুন মতিউর রহমান, তার স্ত্রী লায়লা কানিজ ও ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত। ২ জুলাই মতিউর ও তার দুই স্ত্রী ও ২ সন্তানের সম্পদের বিবরণ জমা দিতে নোটিশ দেয়া হয়। এর আগে, ৩০ জুন মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা সম্পদের খোঁজে সরকারি বিভিন্ন দফতরে নথিপত্র চেয়ে চিঠি দিয়েছিল দুদক।
অনুসন্ধান পর্যায়ে গত ১১ জুলাই ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী সন্তানদের ১১৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ২৩৬৭ শতাংশ জমি ও ৪টি ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ দেয় আদালত। তার আগে, গত ৪ জুলাই মতিউর ও তার স্ত্রী সন্তানদের ১০১৯ শতাংশ জমি ও ৪টি ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ দিয়েছিল আদালত।