স্মার্ট খুবি গড়তে কাজ করা হচ্ছে : উপাচার্য

খুবি প্রতিনিধি |

স্মার্ট খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) গড়তে সর্বাত্মকভাবে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেছেন, ডিজিটালাইজেশনের কারণে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে। কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মদক্ষতা বেড়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ধাপে ডি-নথি চালু হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্ষেত্রে ডি-নথি চালুর আহ্বান জানান খুবি উপাচার্য। 

বুধবার শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনের আইসিটি সেলের ভার্চ্যুয়াল ক্লাস রুমে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২৩-২৪ ও শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন আরো বলেন, শুদ্ধাচার বলতে আমরা আচরণে, কর্মে ও দায়িত্ব পালনে শুদ্ধতা চর্চা ও বজায় রাখার প্রয়াশকেই বুঝি। আর দেশপ্রেম বলতে নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনকে বোঝায়। দেশপ্রেম সবার মধ্যেই আছে কিন্তু এর বহিঃপ্রকাশ আমাদের কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে নীতি-নৈতিকতা, সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে শুদ্ধাচার কৌশল রপ্ত করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, এবছর ইউজিসির এপিএ মূল্যায়নে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ৯৫ দশসিক ৪৭ নম্বর পেয়ে চতুর্থ অবস্থানে উঠে এসেছে। এটা নিঃসন্দেহে আনন্দের খবর। তবে এর বাইরেও খুঁজে দেখা দরকার আমরা কোন কোন ক্রাইটেরিয়ায় এবং কেনো নম্বর কম পেয়েছি। সেই সব ক্ষেত্রে আরো বেশি নজর দিতে হবে। এক্ষেত্রে নিজেদের পেশাগত দক্ষতার উন্নয়ন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমরা নিজেরাই নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী।

খুবি উপাচার্য বলেন, মানসম্মত শিক্ষা ও গবেষণার জন্য মানসম্মত শিক্ষকের যেমন প্রয়োজন, একইভাবে মানসম্মত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরও প্রয়োজন। যারা নিজ যোগ্যতা ও মেধা দিয়ে এই প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা আরো ত্বরান্বিত করতে এবং প্রতিটি কাজের ক্ষেত্রে নিয়ম-নীতি মেনে চলতে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক অমিত রায় চৌধুরী বলেন, শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতেও শুদ্ধাচার চর্চার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল আনুষ্ঠানিভাবে শুরু হয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়েও শুদ্ধাচার চর্চা করা হচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন নিজেই শুদ্ধাচারের একটি প্রতীক।

তিনি আরো বলেন, উন্নত বিশ্ব এবং কল্যাণ রাষ্ট্রের যে চর্চাগুলো, তার সঙ্গে কোথায় আমাদের দূরত্ব থেকে যাচ্ছে এবং আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় কোনো গলদ আছে কি না সেটি ভেবে দেখার জন্য আয়নার সামনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে। ফলে যে জিনিসটি আমরা বুঝি, সে জিনিসটিকে বারবার চর্চা করি। সেক্ষেত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন, আমরা সেই স্বপ্নের পথে এগিয়ে চলবো। আমি মনে করি- বাংলাদেশ সঠিক পথে রয়েছে এবং অবশ্যই সেই স্বপ্নের পথে এগিয়ে যাবে।

বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন এবং রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. জগদীশ চন্দ্র জোয়ারদার। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর দিনব্যাপী ৪টি সেশনে রিসোর্সপার্সন হিসেবে বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক অমিত রায় চৌধুরী, এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. ইয়ামিন কবীর, আঞ্চলিক লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, খুলনার সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) তাছলিমা আক্তার এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিএর ফোকাল পয়েন্ট উপ-রেজিস্ট্রার এস এম আবু নাসের ফারুক। 

পরে বিকেলে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
বাকী সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ একসঙ্গে : শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha বাকী সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ একসঙ্গে : শিক্ষা উপদেষ্টা আমি আশ্বাস দিচ্ছি, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha আমি আশ্বাস দিচ্ছি, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন : এহছানুল হক মিলন - dainik shiksha শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন : এহছানুল হক মিলন পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন ৪৯ হিন্দু শিক্ষক - dainik shiksha পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন ৪৯ হিন্দু শিক্ষক শিক্ষাগুরুর মর্যাদা কবিতাটি পাঠ্যবই থেকে বাদ দিয়েছিলেন কামাল চৌধুরী - dainik shiksha শিক্ষাগুরুর মর্যাদা কবিতাটি পাঠ্যবই থেকে বাদ দিয়েছিলেন কামাল চৌধুরী কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0055909156799316