ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের পর বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের নতুন লক্ষ্য হলো স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ। আর এ লক্ষ্যে সরকারও নানারকম উদ্যোগ নিয়েছে। এর সঙ্গে শিশু শিক্ষাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয়ে শিশুশিক্ষা বিষয়ে কতিপয় সুপারিশ করা হলো:
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকট দূর করা: স্মার্ট বাংলাদেশ এর স্বপ্ন বাস্তবায়নে শিক্ষায় ঘাটতি কোনো অবস্থাতেই কাম্য নয়। শিক্ষক সংকট শূন্য সহিষ্ণুতায় নামিয়ে আনার জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্যানেল ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। প্যানেলের নিয়োগ শেষ হবার পূর্বেই প্যানেল প্রস্তুত রাখা। নিয়োগপ্রাপ্তদের সি ইন এড বা ডি ই এড প্রশিক্ষণ শেষ করে শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করাতে হবে। যাতে প্রশিক্ষণ গ্রহণের কারণে ১ বছর বা ১ বছর বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষা ব্যাহত না হয়। নিয়োগ কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্য জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। যাতে শিক্ষক সংকটে বিদ্যালয়ে শিশু শিক্ষার বিঘ্ন না ঘটে।
মেধাবী, অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনবল গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্বতন্ত্র প্রাথমিক শিক্ষা ক্যাডার সার্ভিস গঠন করা: স্মার্ট বাংলাদেশ এর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রয়োজন সমৃদ্ধ শিশুশিক্ষা। এ জন্য প্রয়োজন মেধাবীদের এ পেশায় আকৃষ্ট করা। এ লক্ষে সহকারী শিক্ষক থেকে শতভাগ পদোন্নতি মাধ্যমে নীতিনির্ধারণী পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে। যাতে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তাদের মেধা, অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। পেশায় দক্ষ জনবল সৃষ্টি করার জন্য পদোন্নতির মাধ্যমে স্বতন্ত্র প্রাথমিক শিক্ষা ক্যাডার সার্ভিস প্রয়োজন। মোট সরকারি কর্মচারীদের প্রায় ৩ ভাগের ১ ভাগ জনবল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে কর্মরত। অথচ সকল মন্ত্রণালয় নিজস্ব ক্যাডার সার্ভিস থাকলেও বিশাল এ মন্ত্রণালয়ের স্বতন্ত্র ক্যাডার সার্ভিস নেই। প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের পদকে এন্টি ধরে শতভাগ পদোন্নতি দিয়ে স্বতন্ত্র প্রাথমিক শিক্ষা ক্যাডার সার্ভিস গঠন করা প্রয়োজন।
শিশুবান্ধব শিক্ষা ও সময়সূচি: শিশুর শারীরিক-মানসিক বিকাশের জন্য মনোবিজ্ঞানসম্মত পাঠদান খেলা, বিনোদন, সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির বিকল্প নেই। বিদ্যালয়ের সময়সূচি বিকেল তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের বিকেলে খেলাধুলা ও বিনোদনের অধিকার হরণ করা হয়েছে। প্রতিদিন বিদ্যালয়ে ২৫/৩০/৪০/৫০ মিনিটে ছয় থেকে সাতটা ক্লাস শিশুকে সাধারণত বিদ্যালয়ের কিছু শেখানোর পরিবর্তে বাড়ির পড়া, কাজ দিয়ে পাঠদান সমাপ্ত করা হয়। এতে শিখন ঘাটতিসহ শিক্ষার্থীর শারীরিক ও মানসিক পরিপূর্ণ বিকাশে সফলতা অর্জন হয় না। দেশের সকল শিশু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুপুর দুইটার মধ্যে ছুটি দেয়া প্রয়োজন। যাতে শিক্ষার্থী বাসায় এসে হাত, মুখ ধুয়ে বা গোসল শেষে খাওয়া-দাওয়া শেষে খানিকটা বিশ্রাম বা ঘুমিয়ে বিকেলে ফুরফুরে মেজাজে সুস্থ দেহ-মন নিয়ে খেলাধুলা বা বিনোদনের সুযোগ পায়। বিদ্যালয়কে জ্ঞান অর্জনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়াসে প্রতিটি শ্রেণির কার্যক্রম ১ ঘন্টা হওয়া বাঞ্ছনীয়। প্রতিটি ক্লাসের পর ৫ মিনিট বিরতি দেয়া উত্তম। দৈনিক চারটি পিরিয়ডের বেশি হওয়া মোটেই কাম্য নয়। এতে একদিকে বিদ্যালয়ে হবে জ্ঞান অর্জনের কেন্দ্রবিন্দু। বাড়িতে পড়ার চাপ ও গৃহশিক্ষকের অভাব দূর হবে। অন্যদিকে শিক্ষার্থী পরিবারের অন্যদের সঙ্গে দুপুরে গরম খাবার খেতে পারবে। এ ছাড়া বিকেলে খেলাধুলা বা বিনোদনের সুযোগ পাবে। এতে শিক্ষার্থীর জ্ঞান অর্জনসহ শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সমৃদ্ধ হবে।
সরকারি-বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়সহ কলেজের প্রাথমিক শাখা বিলুপ্ত করে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যলয়ের অস্তিত্ব সংকটের হাত থেকে রক্ষা করা: ড. কুদরাত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন ও তারই আলোকে প্রণয়ন করা ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের জাতীয় শিক্ষানীতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রাথমিক স্তর হবে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত। যার ফলে প্রতিটি উপজেলায় ২/১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করার পরে দীর্ঘ সময় থেকে এ কার্যক্রম স্থবির হয়ে রয়েছে। বরং প্রতিটি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্লে, নার্সারি থেকে প্রাথমিক শাখা সরকারি তত্ত্বাবধানে চলছে। অথচ উচ্চ বিদ্যালয় ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শিশু শিক্ষায় ট্রেনিং এর ছোঁয়া নেই। অপরদিকে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে উচ্চশিক্ষিত, মেধাবী; প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক। যার ফলে বঙ্গবন্ধু ও তারই সুযোগ্যকন্যা শেখ হাসিনার জাতীয়করণকৃত প্রাধমিক বিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থী সংকটে অস্তিত্ব বিলীন হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা শিশুশিক্ষায় প্রশিক্ষণবিহীন শিক্ষকদের কাছ থেকে যথাযথ শিশু মনোবিজ্ঞানসম্মত শিক্ষা পাচ্ছে না। জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় চালু হলে, তৃণমূলের দরিদ্র, শ্রমিক, অসহায় মানুষসহ সর্বস্তরের জনগণের অবৈতনিক শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শীঘ্রই ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করা। একইসঙ্গে উচ্চ ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শাখা বিলুপ্ত করা।
প্রাথমিকের দপ্তরিদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর: প্রাথমিকের দপ্তরিরা বিদ্যালয়ে অতি জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করে থাকে। বিদ্যালয় ও শিক্ষকদের পদমর্যাদা সরকারি। অথচ বিদ্যালয়ের সার্বিক দেখভাল এর দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মচারী দপ্তরিরা আউট সোসিং এর আওতায়। তাদের অনেকটা সার্বক্ষণিক ডিউটি করতে হয়। এ প্রেক্ষাপটে কাজের গুরুত্ব বিবেচনা করে সুস্থ ও সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার প্রয়াসে তাদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা প্রয়োজন। তা ছাড়া সরকারি বিধি মোতাবেক কর্মঘণ্টা নির্ধারণ করা জরুরি। তাদের পদ রাজস্ব খাতে স্থানান্তরসহ অমানবিক ডিউটি থেকে অব্যাহতি দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করা: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাজের কাঠিন্যের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে বেতন ভাতা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। বিশেষ করে পি টি আইয়ের পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের মতো প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল নির্ধারণ করা প্রয়োজন। পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শিক্ষাগতর যোগ্যতা এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের যোগ্যতা সমমানের। কারিকুলাম এবং পাঠদানের ধরণও একই। উভয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করে থাকেন। তবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের পাঠদান বহির্ভূত কাজের ব্যাপকতা মাত্রাধিক। পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাঠদান ছাড়া কাজ নেই বললেই চলে। এ ছাড়া অন্যান্য সমযোগ্যতা সম্পন্ন সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য বিদ্যমান। এক্ষেত্রে মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করতে বেতন স্কেলের বৈষম্যসহ শতভাগ পদোন্নতি সুযোগ প্রদান জরুরি। সমযোগ্যতা, সমকাজ ও কাজের বিষয়টি বিবেচনা করে বেতন বৈষম্য দূরীকরণসহ শতভাগ পদোন্নতি সুযোগ সৃষ্টি করা।
কিন্ডারগার্টেন: বর্তমানে দেশে পঞ্চাশ হাজারের অধিক কিন্ডারগার্টেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। শিশুশিক্ষায় বিশাল কর্মকাণ্ডের জন্য তাদের সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেয়া আবশ্যক। এ লক্ষ্যে বিদ্যালয়গুলোকে সহজ শর্তে রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজন। মনোবিজ্ঞানের জ্ঞান ছাড়া শিশুর শারীরিক, মানসিক বিকাশসহ পরিপূর্ণ দক্ষতা অর্জন সম্ভব নয়। কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক তারাও এ দেশের নাগরিক। এদের প্রশিক্ষণবিহীন অবহেলায় রেখে আগামী প্রজন্মের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন ব্যাহত হবে। অবিলম্বে কিন্ডারগার্টেন বিদ্যালয়ের সহজ শর্তে রেজিস্ট্রেশন ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে আওতায় আনা প্রয়োজন।
জাতীয় ও বিশেষ দিবস স্বতঃস্ফূর্ত পালনে বিদ্যালয় বাৎসরিক ছুটি থেকে বাদ দেয়া: বাঙালি সংগ্রামী জাতি। আমাদের মতো সংগ্রামী ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি আর কোনো জাতির নেই। অথচ আজকের প্রজন্ম স্বাধীনতার ৫ দশকের পরে ও বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের সরকার দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকার পরেও আজও তারা দেশ ও জাতির সংগ্রামী ইতিহাস, ঐতিহ্য সংস্কৃতি সম্পর্কে ভালো ধারণা লাভ করতে সক্ষম হয়নি। এর অন্যতম কারণ বাৎসরিক ছুটির তালিকায় বিদ্যালয় ছুটি দেখিয়ে স্বল্প সংখ্যাক শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে ডেকে এনে যেনতেন দায়সারাভাবে দিবসগুলো পালন করে থাকে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকেরা অফিস কক্ষে পরিদর্শনের অপেক্ষায় সময় কাটায়। অভিভাবক বিদ্যালয় বন্ধ জেনে শিক্ষার্থীদের দিবস পালনে বিদ্যালয়ে পাঠান না। এতে শিক্ষার্থীরা দেশ ও জাতির সংগ্রামী ঐতিহ্য সংস্কৃতি জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত হন। বাৎসরিক ছুটির তালিকা থেকে জাতীয় ও বিশেষ দিবসে ছুটি বাদ দিয়ে শিক্ষকদের শ্রান্তি বিনোদন ভাতা বিধিসম্মতভাবে ৩ বছর পর পর পাওয়ার লক্ষ্যে গ্রীষ্মের ছুটি বা যেকোনো ছুটি একনাগাড়ে ১৫ দিন করা হোক। জাতীয় ও বিশেষ দিবস সম্পর্কে সকল শিক্ষার্থীদের জানানোর বিষয়ে শিক্ষকদের জবাদিহিতার আওতায় আনা প্রয়োজন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি: বিদ্যালয় পরিচালনা হতে হবে বিদ্যালয়ের কল্যাণের জন্য। এ প্রেক্ষাপটে বিদ্যালয় পরিচালনার কমিটি নামকরণ হওয়া প্রয়োজন বিদ্যালয় কল্যাণ কমিটি। এ কমিটি রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের হস্তক্ষেপমুক্ত পরিবেশে হওয়া প্রয়োজন কল্যাণ কমিটি। এ কমিটিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অভিভাবক, শিক্ষক ও জমিদাতা থাকবে। শ্রেণিভিত্তিক ১ জন করে অভিভাবক, সকল শিক্ষক ও জমিদাতা। প্রধান শিক্ষক হবেন আহ্বায়ক। সকলের বা সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে হবে কল্যাণকর সিদ্ধান্ত। রাজনীতি বা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুক্ত করার প্রয়াসে কল্যাণ কমিটি করা প্রয়োজন। যাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খবরদারি বা ম্যানেজিং কমিটির নামে প্রভুত্বমূলক মনোভাব না থাকে।
দ্বিতীয় ধাপের ৪৪টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ প্রসঙ্গ: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছেন। অথচ ২য় ধাপের ৪৪টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যাচাই-বাছাই করে জাতীয়করণের যোগ্য বিবেচিত হওয়া সত্ত্বেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আজও বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ হয়নি। এতে একদিকে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি। অপরদিকে, বেতন-ভাতার অভাবে শিক্ষকেরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে উপবৃত্তি, খাবারসহ সরকারের নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে। অবিলম্বে দ্বিতীয় ধাপের জাতীয়করণযোগ্য ৪৪টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পূর্ণ বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে চালেঞ্জগুলো দূরীকরণ জরুরি।
লেখক: সভাপতি, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ