স্যার এ এফ রহমানের জন্মদিন আজ

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

শিক্ষাবিদ স্যার এ. এফ. রহমানের জন্মদিন আজ। স্যার এ এফ রহমানের পুরো নাম আহমেদ ফজলুর রহমান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বাঙালি উপাচার্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ এফ রহমান হল তার নামেই নামকরণ করা হয়েছে।

স্যার এ. এফ. রহমান ১৮৮৯ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার আদি পিতৃভিটা চট্টগ্রামের ফেনী জেলায়। তার পিতার নাম মৌলভী আব্দুর রহমান।

এ. এফ. রহমান ছিলেন একাধারে একজন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ, রাজনীতিবিদ, সমাজ সংস্কারক ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ। ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুলাই তিনি ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের’ উপাচার্য পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।

ফজলুর রহমান ছাত্র হিসেবে তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। তিনি জলপাইগুড়ি জিলা স্কুল থেকে ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দে বৃত্তিসহ প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি ১৯১২ খ্রিষ্টাব্দে ইংল্যান্ডে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ (সম্মান) ইতিহাসে ডিগ্রি লাভ করেন। এর পরে লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স তিনি দুই বছর গবেষণা করেন। তার গবেষণার বিষয় ছিলো ‘পলিটিক্যাল ইকোনমি’।

ইংল্যান্ড থেকে বাড়ি ফিরে ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দে ‘আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’ এর ইতিহাস বিভাগে লেকচারার হিসাবে যোগ দেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কমিশনের একজন সদস্য হিসাবে স্যার এ. এফ. রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় অতীব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বাঙালি ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এর প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর পি. জে. হার্টগ-এর অনুরোধে স্যার এ. এফ. রহমান ইতিহাস বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক পদে যোগ দেন। পরবর্তীতে, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম হলের (বর্তমান সলিমুল্লাহ মুসলিম হল) প্রথম প্রভোস্ট হিসেবে নিযুক্ত হন।

স্যার এ. এফ. রহমানের দক্ষতা ও সক্ষমতায় খুশি হয়ে ব্রিটিশ সরকার ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুলাই তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর হিসাবে নিযুক্ত করেন। তিনি সফলতার সাথে ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনারারি ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়। ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার তাকে রাজকীয় খেতাব ‘নাইটহুড’ সম্মাননায় ভূষিত করে।

এই বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দের ১০ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর - dainik shiksha শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি - dainik shiksha মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী - dainik shiksha আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই - dainik shiksha প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে - dainik shiksha জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ - dainik shiksha বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য - dainik shiksha এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা - dainik shiksha অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর - dainik shiksha ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন - dainik shiksha বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী - dainik shiksha একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029091835021973