সড়কে টিনের বেড়া দেওয়ায় বিপাকে শিক্ষার্থীরা

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি |

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে চলাচলের সড়কে ঢেউটিন ও পাটকাঠির বেড়া (চ্যাকার) দিয়ে রাস্তা বন্ধ করায় বিপাকে পড়েছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ শতাধিক পরিবার। প্রায় একমাস ধরে অবরুদ্ধ থাকার পর গত মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) রাস্তা উদ্ধারের দাবিতে উপজেলা নিবার্হী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। 

জানা গেছে, উপজেলার ছিট রাবাইটারী থেকে নেওয়াশি গামী প্রায় এক কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা দিয়ে ওই গ্রামের শতাধিক পরিবারের লোকজন এবং ছিটরাবাইটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চলাচল করে। সম্প্রতি ওই এলাকার আব্দুল কাদের ও তার ভাইয়েরা রাস্তাটি তাদের ব্যক্তিগত দাবি করে টিন ও পাটকাঠির বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেন। ওই রাস্তায় টিনের চালা উঠিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির চারা গাছ লাগিয়ে দেন তারা। ফলে স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় অনেক দূর ঘুরে বিকল্প রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। রাস্তা না থাকায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কমে গেছে ছিটরাবাইটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

ওই বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুম, রিপন, হাবিবা জানায়, আগে স্কুলের সামনের ওই রাস্তা দিয়ে আমরা সোজাসুজি চলে আসতাম। এখন বেড়া দিয়ে বন্ধ করায় প্রায় এক কিলোমিটার ঘুরে স্কুলে আসতে হচ্ছে। তারা আরও জানায়, এতে অনেক শিক্ষার্থী স্কুল আসা ছেড়ে দিয়েছে।

ওই গ্রামের আলহাজ্ব মেছের আলী, আবুল হোসেন প্রধান শিক্ষক মোখলেছুর রহমান, প্রভাষক আজিজার রহমান, শিক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, জন্ম থেকে ওই রাস্তা দিয়েই চলাচল করছি। এখন হঠাৎ করে তারা ওই জমির মালিকানা দাবি করে বেড়া দিয়ে চলাচল বন্ধ করেছে। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় আশপাশের প্রায় শতাধিক পরিবারের লোকজন অন্যের জমির আইল, বাগান কিংবা বাড়ির ভিতর দিয়ে চলাচল করছে।

এ বিষয়ে রাস্তার জমির মালিকানা দাবীকারী আব্দুর কাদের ও তার ভাই বলেন, আগে আমরা পূর্বদিকে রেকর্ডি রাস্তা ভোগদখল করতাম আর পশ্চিম দিকে আমাদের মালিকানা জমি দিয়ে লোকজন চলাচল করতো। কিন্তু এখন পূর্ব পার্শ্বের রেকর্ডি রাস্তা ছেড়ে দিয়ে পশ্চিম পার্শ্বের মালিকানার জমিতে বেড়া দিয়েছি।

ছবি : সংগৃহীত

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নিবার্হী অফিসার (ইউএনও) সুমন দাস জানান, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে চলাচলের রাস্তা উদ্ধারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ - dainik shiksha বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি - dainik shiksha যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি - dainik shiksha তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই - dainik shiksha শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী - dainik shiksha বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0035390853881836