হজের গুরুত্ব ও ফজিলত

হাফিজ মাছুম আহমদ |

হজ ইসলামের পঞ্চম রোকন বা স্তম্ভ। মুমিন বান্দার প্রতি মহান আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ এই যে, তিনি তাকে এমন কিছু ইবাদত দান করেছেন, যা দ্বারা বান্দা তার রূহানি তারাক্কি, কলবের সুকুন ও প্রশান্তি এবং দুনিয়া-আখিরাতের খায়ের ও বরকত লাভ করে থাকে। এসবের একটি হলো হজ। নামাজ, রোজা, জাকাত যেমন-ফরজ ইবাদত, তেমনি আর্থিক ও শারীরিকভাবে সামর্থ্যবান মুসলমান নর-নারীর জন্য হজ অন্যতম বরকতপূর্ণ অবধারিত কর্তব্য।

হাফিজ মাছুম আহমদ

হজ আরবি শব্দ, যার অর্থ নিয়ত করা, দর্শন করা, সংকল্প করা, সন্ধান করা, সাক্ষাৎ করা, ইচ্ছা করা বা প্রতিজ্ঞা করাসহ কোনো মহৎ কাজের ইচ্ছা করা। শরিয়তের পরিভাষায় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ফরজ আমলটি পালনার্থে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য ও সন্তোষ লাভের আশায় হজের নির্ধারিত সময়-সীমার ভেতরে নির্দিষ্ট আমল সম্পাদনের জন্য পবিত্র ‘বাইতুল্লাহ’ তথা কা’বা ঘর জেয়ারত করাকে হজ বলে।

আল্লাহ তা’য়ালা বলেছেন, মক্কা শরীফ পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম প্রত্যেক ব্যক্তির ওপর আল্লাহর জন্য হজ আদায় করা ফরজ’ (সূরা আল ইমরান, আয়াত: ৯৭)। ‘তোমরা আল্লাহর জন্য হজ ও উমরাহ পালন কর’ (সূরা-আল বাকারা, আয়াত: ১৯৬)। মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘যখন আমি ইবরাহিমকে (আলাইহিস সালাম) বায়তুল্লাহর স্থান ঠিক করে দিয়ে বলেছিলাম, আমার সঙ্গে কাউকে শরিক করো না এবং আমার গৃহকে পবিত্র রাখ তাওয়াফকারীদের জন্য। আর মানুষের মাঝে তুমি হজের ঘোষণা প্রচার করো, তারা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে, উটে চড়ে এবং সর্বপ্রকার বাহনে সওয়ার হয়ে দূর-দূরান্ত থেকে’ (সূরা হজ, আয়াত: ২৬-২৭)।

নবম হিজরীতে হজ ফরজ হয়। হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম ১০ম হিজরিতে একবার স্বপরিবারে হজ পালন করেন। মক্কা শরীফ পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম এমন প্রত্যেক মুসলিম পুরুষ ও মহিলার জন্য জীবনে একবার হজ আদায় করা ফরজ। এ সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, হে মানব সকল! আল্লাহ তোমাদের  ওপর হজ ফরজ করেছেন। সুতরাং তোমরা হজ করো। এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! প্রতিবছর কি হজ্জ করতে হবে? তিনি চুপ রইলেন এবং লোকটি এভাবে তিনবার জিজ্ঞেস করলেন। অতপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি যদি হ্যাঁ বলতাম, তাহলে প্রতি বছর হজ করা ফরজ হয়ে যেতো, কিন্তু তোমাদের পক্ষে তা করা সম্ভব হতো না’ (মুসলিম, হাদিস: ১৩৩৭)। বারবার হজ আদায় করা মুস্তাহাব। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম বলেছেন, হজ একবার, যে ব্যক্তি একাধিকবার করবে তা তার জন্য নফল হবে’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২৮৮৬, আবু দাউদ হাদিস: ১৭২১)।

হাদিস শরীফে হজ ফরজ হওয়া মাত্র আদায় করার তাগিদ ও হুকুম দেয়া হয়েছে। হযরত ইবনে আববাস (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ফরজ হজ আদায়ে তোমরা বিলম্ব করো না। কারণ, তোমাদের কারো জানা নেই তোমাদের পরবর্তী জীবনে কী ঘটবে (সুনানে কুবরা বায়হাকী ৪/৩৪০, মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ২৮৬৭)। অন্য বর্ণনায় ইরশাদ হয়েছে, হযরত ইবনে আববাস (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি হজ করার ইচ্ছে করে, সে যেনো তাড়াতাড়ি তা আদায় করে নেয়। কারণ, যেকোনো সময় সে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে বা বাহনের ব্যবস্থাও না থাকতে পারে অথবা অন্য কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২৮৮৩; আবু দাউদ, হাদিস: ১৭৩২)।

একটি হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তা’আলা যে স্বচ্ছল সামর্থ্যবান ব্যক্তি তাড়াতাড়ি হজ আদায় করে না তাকে হতভাগা ও বঞ্চিত আখ্যায়িত করেছেন। আবু সাঈদ খুদরী (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ বলেন, আমি আমার বান্দার শরীরকে সুস্থ রাখলাম, তার রিজিক ও আয়-উপার্জনে প্রশস্ততা দান করলাম। পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও যদি সে আমার গৃহে হজের উদ্দেশে আগমন না করে তবে সে হতভাগ্য ও বঞ্চিত’ (তবারানী, হাদিস: ৪৯০; সুনানে কুবরা বায়হাকী ৫/২৬২; ইবনে হিববান, হাদিস: ৩৬৯৫; মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদিস: ১০৩১; মাজমাউয যাওয়াইদ, হাদিস: ৫২৫৯)। শুধু তাই নয়, একসময় বায়তুল্লাহ শরীফ উঠিয়ে নেয়া হলে মানুষ হজ করতে পারবে না এই আশঙ্কার কারণেও আল্লাহর রাসুল উম্মতকে তাড়াতাড়ি হজ করার হুকুম করেছেন। ইবনে উমর (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা হজ্জ ও উমরার মাধ্যমে বায়তুল্লাহ এর উপকার গ্রহণ কর। কেনোনা তা ইতিপূর্বে দুবার ধ্বংস হয়েছে। তৃতীয় বারের পর উঠিয়ে নেয়া হবে’ (ইবনে হিববান, হাদিস: ৬৭১৮; ইবনে খুযাইমা, হাদিস: ২৫০৬; মুসনাদে বাযযার, হাদিস: ১০৭২; মুসতাদরাকে হাকিম, হাদিস: ১৬৫২)।

কেউ হজের আবশ্যকীয়তা বা ফরজ হওয়া অস্বীকার করলে তাকে অমুসলিম বলে গণ্য করা হবে। আর যদি কোনো সক্ষম ব্যক্তি হজ ফরজ মানা সত্ত্বেও তা আদায় না করেন তাহলে কঠিন পাপের মধ্যে নিপতিত হবেন এবং তার ঈমান নষ্ট হওয়ার ভয় রয়েছে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে অবহেলা করে ফরজ হজ ত্যাগ করে, আমি জানি না তার মৃত্যু ঈমানের ওপর হবে কি না। হজ করার শক্তি-সামর্থ্য ও অর্থ-বিত্ত থাকার পরও যে ব্যক্তি হজ করে না তার সম্পর্কে হাদিস শরীফে কঠোর সতর্কবাণী প্রদান করা হয়েছে। যে ব্যক্তি হজ করার সামর্থ্য রাখে, তবুও হজ করে না সে ইহুদী হয়ে মৃত্যুবরণ করলো কি খিষ্ট্রান হয়ে তার কোনো পরোয়া আল্লাহর নেই’ (তিরমিযী, হাদিস ৮১২, তাফসীরে ইবনে কাসীর ১/৫৭৮)।

হজের ফজিলত

হজ্জ একটি আর্থিক ও শারীরিক ইবাদত। এ কারণেই আল্লাহ একে অতি ফজিলতপূর্ণ করেছেন। হজের ফজিলত সম্পর্কে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। হাদিস শরীফে মকবুল হজের বহু ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে। মুমিন ব্যক্তি আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রতি গভীর ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ দেখায় বায়তুল্লাহ শরীফ তাওয়াফ ও রওজা মোবারক জিয়ারতের মাধ্যমে। নিম্নে কয়েকটি হাদিস উল্লেখ করা হলো, হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য নিবেদিতভাবে, সর্বপ্রকার পাপ, অন্যায় ও অশ্লীলতা মুক্ত হয়ে হজ্জ আদায় করলো, সে মাতৃগর্ভ থেকে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে ঘরে ফিরলো’ (বুখারী, হাদিস: ১৫২১; মুসলিম, হাদিস: ১৩৫০)। তিনি আরো বলেছেন; একবার উমরা আদায়ের পরে দ্বিতীয়বার যখন উমরা আদায় করা হয়, তখন দুই উমরার মধ্যবর্তী গোনাহ আল্লাহ মাফ করে দেন। আর হজ্জে মাবরুর বা পুণ্যময় হজ্জের একমাত্র পুরস্কার হলো জান্নাত’ (বুখারী, হাদিস: ১৭৭৩; মুসলিম, হাদিস: ১৩৪৯; তিরমিযী, হাদিস: ৯৩৩; নাসায়ী, হাদিস: ২৬২৯; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২৮৮৮)। কবুল হজ দ্বারা উদ্দেশ্য এমন হজ, যা সুন্নত মোতাবেক সম্পন্ন হয়, যাতে পাপাচার ও গোনাহ থেকে মুক্ত থাকা হয় (রিয়াযুছ ছালেহীন হা/১২৮১-এর ব্যাখ্যা)। হজ শুধু শারীরিক ইবাদতে সীমাবদ্ধ নয়, বরং হজ পালন বান্দার পাপও মোচন করে দেয়। ফলে হজ পালনকারীর পাপের বোঝা হালকা হয় এবং দারিদ্র্য দূর হয়। তবে হজ পালন একমাত্র আল্লাহর সন্তষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে হতে হবে। এতে কোনো প্রকার লৌকিকতা থাকতে পারবে না। এ মর্মে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা বারবার হজ ও উমরা আদায় কর। কারণ, কর্মকারের ও স্বর্ণকারের আগুন যেমন লোহা ও সোনা-রুপার ময়লা মুছে ফেলে তেমনিভাবে এ দুটি ইবাদত দারিদ্র্য ও পাপ মুছে ফেলে। আর হজে মাবরুর বা পুণ্যময় হজ্জের একমাত্র পুরস্কার হলো জান্নাত’ (তিরমিযী, হাদিস: ৮১০; নাসায়ী, হাদিস: ২৬৩১)।

হযরত আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হয়, সর্বশ্রেষ্ঠ কর্ম কী? তিনি বললেন, আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রতি ঈমান আনা। প্রশ্নকারী বলেন, এরপর কোন কর্ম? তিনি বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদ করা। প্রশ্নকারী বলেন, এরপর কোন কর্ম? তিনি বললেন, তোমাদের জন্য উত্তম ও সুন্দরতম জিহাদ হলো হজ, তথা মাবরুর হজ (কবুল হজ্জ)’ (বুখারী, হাদিস: ২৬; মুসলিম, হাদিস: ৮৩; তিরমিযী, হাদিস: ১৬৫৮)।

 

হযরত আয়শা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম! জিহাদকে আমরা সর্বোত্তম আমল মনে করি। কাজেই আমরা কি জিহাদ করবো না? তিনি বললেন, তোমাদের জন্য উত্তম ও সুন্দরতম জিহাদ হলো ‘হজ’, তথা মাবরুর হজ’ (বুখারী, হাদিস: ১৫২০)।

হযরত ইবনে উমর (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘আল্লাহ হজকারীকে তার উটনীর প্রতি কদমে একটি নেকি লেখেন কিংবা একটি গুনাহ মুছে দেন। অথবা একটি মর্তবা বুলন্দ করেন’ (ইবনে হিব্বান, হাদিস: ১৮৮৭; শুআবুল ঈমান, বায়হাকি, হাদিস: ৪১১৬)। হযরত সাহল ইবনে সা’দ আসসায়েদী (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম ইরশাদ করেন, কোনো ব্যক্তি যখন তালবিয়া পাঠ করে তখন তার ডানে ও বামে পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত যা কিছু আছে যেমন, গাছপালা, মাটি, পাথর সব কিছু তালবিয়া (লাব্বাইক) পাঠ করতে থাকে, (তিরমিযী, হাদিস: ৮২৮; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২৯২১)। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে হজ করার তাওফিক দান করুন আল্লাহুম্মা আমিন।
 

লেখক: বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ও কলামিস্ট


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
বর্তমানে ছাত্রদের নেতৃত্ব দেয়ার কেউ নেই: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী - dainik shiksha বর্তমানে ছাত্রদের নেতৃত্ব দেয়ার কেউ নেই: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী শিক্ষাখাতের নতুন তদবিরবাজ তিতাস! - dainik shiksha শিক্ষাখাতের নতুন তদবিরবাজ তিতাস! শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা চলছে: সমন্বয়ক হান্নান - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা চলছে: সমন্বয়ক হান্নান তদন্ত রিপোর্ট না দিয়েই সটকে পড়ছেন শিক্ষা পরিদর্শকরা - dainik shiksha তদন্ত রিপোর্ট না দিয়েই সটকে পড়ছেন শিক্ষা পরিদর্শকরা বরখাস্ত হচ্ছেন শিক্ষা বোর্ডের সেই সচিব নারায়ণ নাথ - dainik shiksha বরখাস্ত হচ্ছেন শিক্ষা বোর্ডের সেই সচিব নারায়ণ নাথ আমরা চাই না ছাত্রদের কঠোর হয়ে দমন করতে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা - dainik shiksha আমরা চাই না ছাত্রদের কঠোর হয়ে দমন করতে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0060460567474365