যাত্রাবাড়ীতে শিশু সানজিদা আক্তারকে (১০) হত্যার অভিযোগে ঘটনার প্রায় তিন মাস পর গ্রেফতার হলেন শিক্ষক দম্পতি। গ্রেফতারকৃতরা হলেন— শিক্ষিকা নুসরাত জাহান মনি ও তার স্বামী মোরশেদ আলম। যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ গতকাল তাদের গ্রেফতার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী।
গত ২১ এপ্রিল অন্য শিশুদের সঙ্গে সানজিদা পড়তে যায় উত্তর যাত্রাবাড়ীর স্কুল শিক্ষিকা নুসরাত জাহান মনির বাসায় (বিবির বাগিচার ২ নং গেটের ৭২/২/২- এম বাসা)। আর ওই দিন নুসরাতের শোওয়ার ঘরে ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় সানজিদার লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর সানজিদার পরিবার হত্যার অভিযোগ করলেও নুসরাত ও তার স্বামী মোরশেদ দাবি করেন, সানজিদা খেলতে গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে ফাঁস লেগে মারা যায়। ঘটনার দিন যাত্রাবাড়ী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য সানজিদার লাশ পাঠানো হয় মিটফোর্ড স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে। ময়নাতদন্ত শেষে গত ২৩ এপ্রিল সানজিদার লাশ তার বাবা গাড়িচালক মোহাম্মদ শাহজাহান ও মা জান্নাতি বেগম তাদের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে নিয়ে দাফন করেন।[insidea-ad]
যাত্রাবাড়ী থানার ওসি জানান, বৃহস্পতিবার সানজিদার লাশের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট থানায় পৌঁছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, শ্বাসরোধ করে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। এরপরই শিক্ষক দম্পতিকে তাদের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে সানজিদার বাবা শাহাজাহান অভিযোগ করে বলেন, আমরা প্রথম থেকেই এ বিষয়ে অভিযোগ করে আসছি। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।
এলাকাবাসী জানান, স্কুল শিক্ষিকা নুসরাত বিবির বাগিচার ভাড়া করা বাড়ির ৫ম তলায় থাকেন। ওই ফ্ল্যাটে এলাকার অনেক শিশুকে পড়ান। সানজিদাও ওই বাসায় গিয়ে পড়তো।