হলের সিট নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারি, আহত ৫

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি |

ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কলেজের ফজলুল হক হলের সিট নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। 

হল সুপার শাহজাহান শাজু দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, কলেজে তিনটি ছাত্র হোস্টেল রয়েছে। এর মধ্যে কলেজের পুকুরের দুই পারের দুইটি ব্লক ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় ভেঙে ফেলা হয়েছে। এতে হোস্টেলে সিট সংকট সৃষ্টি হওয়ায় কলেজের কাজী নজরুল ইসলাম হল ও ভাষা সৈনিক আবু সালেহ হলের প্রতি কক্ষে ৫ জন করে ছাত্র থাকছেন। তবুও সিটের সংকুলান না হওয়ায় হোস্টেল কমিটি ফজলুল হক হলের প্রতি কক্ষে ৫ জন করে ছাত্র রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই অনুযায়ী হলের সিট বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে আনন্দমোহন কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুস সাকিব ফজলুল হক হলের ২০৪ নম্বর কক্ষে উঠেন। এসব নিয়েই দুই গ্রুপের মাঝে মারামারি হয়। শুনেছি বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আনন্দমোহন ছাত্রলীগের এক পক্ষের নেতা আরহান খান ছোটন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কলেজ ছাত্রলীগের একটি পক্ষ বর্তমান অবৈধ কমিটি মেনে নেয়নি। এসব নিয়ে আহ্বায়ক কমিটির সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। নতুন বছরে হোস্টেলে ৫০-৬০টি সিট খালি হয়েছে। ওই সিটগুলো আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক শেখ সজল ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর জোর করে দখল করেছে। এই কারণে হোস্টেলে সিট সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য ফজলুল হক হলেও ৪ জনের জায়গায় ৫ জন থাকার সিদ্ধান্ত দেয় হোস্টেল কমিটি। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিষয়টি মেনে না নিয়ে প্রতিবাদ করলে অবৈধ কমিটির আহ্বায়ক শেখ সজল ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ওমরের নেতৃত্বে বহিরাগতরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাধারণ ছাত্রদের ওপর হামলা করে। হামলায় মাজাহারুল ইসলাম ফয়েজ, সোহাগ আলম, তানভীর আহমেদ, নাহিদ আলম আহত হয়েছেন। মাজাহারুল ইসলাম ফয়েজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

জানতে চাইলে আনন্দমোহন কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শেখ সজল দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, হোস্টেল কমিটি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে ফজলুল হক হলে ৫ জন করে থাকবে। কিন্তু ছোটন ও তার ছেলেরা হোস্টেল কমিটির সিদ্ধান্ত মানছে না। এদিকে কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুস সাকিবকে ফজলুল হক হলের ২০৪ নম্বর রুম বরাদ্দ দেয়া হয়। সাকিব রুমে যেতেই সোহাগ আলম, তানভীর আহমেদ, নাহিদ তাকে মারধর করে। পরে আমরা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গেলে ওরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। পরে সেখান থেকে আমরা চলে আসছি।

কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, হলের সিট নিয়ে দুই পক্ষের মারামারি হয়েছে। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর - dainik shiksha শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি - dainik shiksha মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী - dainik shiksha আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই - dainik shiksha প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে - dainik shiksha জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ - dainik shiksha বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য - dainik shiksha এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা - dainik shiksha অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর - dainik shiksha ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন - dainik shiksha বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী - dainik shiksha একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0046830177307129