শিক্ষার্থী ও ছাত্র সংগঠনের দাবি হল খুলে পরীক্ষা নেয়ার

ঢাবি প্রতিনিধি |

করোনা পরিস্থিতে সেশনজট মোকাবিলায় আটকে থাকা পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা সমাধানের জন্য হল খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন।

শনিবার (১২ ডিসেম্বর) সংগঠনগুলো পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানিয়েছে। ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অফিস থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অনার্স শেষ বর্ষ ও মাস্টার্সের পরীক্ষাসমূহ নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সময়োপয়োগী ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই ইতিবাচক। কিন্তু আবাসিক হল বন্ধ রেখে পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়টি শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রচণ্ড উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে নারী ও ঢাকার বাইরের শিক্ষার্থীদের জন্য এ সময়ে ঢাকায় থাকার জায়গা ব্যবস্থা করা অনেকের পক্ষে সম্ভবপর নয়। এরইমধ্যে পরীক্ষার্থীরা আবাসনের জন্য হল খুলে দেওয়ার পক্ষে বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের দাবি তুলে ধরেছে। তবে এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আশানুরূপ কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাই ছাত্র অধিকার পরিষদ শিক্ষার্থীদের উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া সাপেক্ষে পরীক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে।

অপরদিকে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এমন সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণরূপে অগণতান্ত্রিক ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচায়ক। কারণ এ সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সশরীরে কম বিরতিতে এমনকি একই দিনে দু’টি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের আবাসনের ব্যবস্থা বা হল খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়নি। শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে সমস্যাগুলো যাচাই করে ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম চালু ও হল খুলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি সাপেক্ষে রূপরেখা হাজির করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

হল খুলে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সরব হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিচালিত একটি ফেসবুক গ্রুপের ভোটেও অধিকাংশ শিক্ষার্থী হল খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0023479461669922