হাজী নাছির কলেজের অভিযুক্ত ১০ শিক্ষকের এমপিও ফের চালুর উদ্যোগ!

নিজস্ব প্রতিবেদক |

জাল সনদসহ বিভিন্ন অভিযোগে স্থগিত হওয়া হাজী নাছির উদ্দীন কলেজের ১০ শিক্ষকের এমপিও ফের চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে একটি অসাধু চক্র। কলেজটি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার ছলিমপুরে অবস্থিত।

পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয় অভিযুক্ত শিক্ষকরা ভুয়া ও জাল সনদ দেখিয়ে চাকুরিলাভ ও এমপিওভু্ক্ত হন। এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের দুজন কর্মকর্তার তদন্তেও ধরা পড়েছে কলেজের অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম।

অনুসন্ধানে জানা যায়, এমপিও [বেতন-ভাতার সরকারি অংশ] স্থগিত হওয়ার তথ্য গোপণ করে সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিস, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কতিপয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীর একটি অসাধু চক্র অভিযুক্ত ১০ শিক্ষকের এমপিও ফের চালু করিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। অধিদপ্তরের ইএম্‌আইএস সেলের নজিবউদ্দৌলাও এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গেছে। চক্রটি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এমপিও ফের চালু করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে বলে জাান যায়।

জানা যায়, চক্রটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামানের বিদেশে অবস্থানকালীন সময়ে এমপিওছাড়ের পক্ষে অধিদপ্তেরের একটি মতামত নিতে সমর্থ হয়েছে। গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর মাসে অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামছুল হুদা এই কলেজের ১০ শিক্ষকের এমপিও ফের চালুর বিষয়ে শিক্ষাসচিবের সিদ্ধান্ত কামনা করে চিঠি লেখেন।  অধিদপ্তরের আইন শাখা থেকেও একটি মতামত সংগ্রহ করেছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে অবৈধভাবে নিয়োগ পেয়ে বছরের পর বছর সরকারি কোষাগার থেকে নেয়া এমপিও বাবদ নেয়া টাকা সরকারি ফেরত নেয়ার উদ্যোগ নিতে শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত আবেদন জানিয়েছেন কলেজের কয়েকজন অভিভাবক ও শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় গণ্যমান্যরা। এছাড়াও এমপিও স্থগিত হওয়া ১০ শিক্ষকের এমপিওশীট থেকে নাম কর্তন এবং কোনোভাবেই যেন ফের এমপিও চালু করতে না পারে সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে মহাপরিচালক বরাবর আবেদন জানিয়েছেন হাজী নাছির উদ্দীন কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন সভাপতি এনাম হক।

দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনেও অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। অভিযোগের সবিস্তার বর্ণনা দিয়ে প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে শিক্ষাবিষয়ক দেশের একমাত্র অনলাইন জাতীয় পত্রিকা দৈনিকশিক্ষাডটকম সম্পাদক বরাবরও চিঠি লিখেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল আলীমসহ কয়েকজন শিক্ষক জানান, শিগগিরই তাদের স্থগিত হওয়া এমপিও ছাড় হবে। জোর তদবির চলছে। অভিযোগগুলো সত্য নয় বলে দাবী করেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান বুধবার দৈনিকশিক্ষাডটকমকে বলেন, ভুয়া সনদের কারণে স্থগিত হওয়া এমপিও ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। যদি প্রকৃত দোষী হয় তবে, শত তদবির করেও কোনো লাভ হবে না।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0031101703643799