মেহেরপুর সদর উপজেলায় হাত-পা বেঁধে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় অভিযুক্ত এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকালে মেহেরপুর ডিবি শাখার পরিদর্শক রত্নেশ্বর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার (১৫ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টায় গাংনী উপজেলার খাসমহল গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি সদর উপজেলার তেরঘরিয়া গ্রামের কালাম আলীর ছেলে রিগান হোসেন (৩৫)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর গা ঢাকা দেয় রিগান। পরে খাসমহল গ্রামে তার এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। ইতোমধ্যে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় তিন দিন আগে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া ভুক্তভোগী ছাত্রী নানাবাড়ি বেড়াতে যায়। বুধবার দুপুরে নানাবাড়িতে সে একাই ছিল। এ সুযোগে রিগান ওই বাড়িতে ঢুকে ভুক্তভোগী শিশুটির হাত-পা-মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটির নানি এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জমির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তার জানান, শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
পরিদর্শক রত্নেশ্বর জানান, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে রিগানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেহেরপুর সদর থানায় তাকে হস্তান্তর করা হবে।