হাবিপ্রবি প্রশাসনের আশ্বাসে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দিয়েছে ছাত্রলীগ। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে অনিয়ম, যৌন হয়রানি ও বিচারহীনতার ঘটনাসহ ১১ দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবন ও লাইব্রেরিতে তালা ঝুলিয়ে দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে প্রশাসনিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা. ফজলুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরআগে রাতে ছাত্রলীগের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলন স্থগিত করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা. ফজলুল হক বলেন, ‘ছাত্রলীগের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত মোতাবেক তালা খুলে দিয়েছে ছাত্রলীগ। ফলে সকাল থেকেই প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে, তার কিছু সংশোধন করা এবং নতুন করে পদসংখ্যা বাড়ানোর জন্য আশ্বাস দেয়া হয়েছে।’
ছাত্রলীগ নেতা আলমগীর হোসেন আকাশ বলেন, ‘লাইব্রেরিয়ান পদে বিএনপিপন্থি শিক্ষক প্রফেসর ড. রেজাউল করিমকে পদায়ন, যৌন হয়রানির বিচার না করা এবং অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগের সুরাহাসহ ১১ দফা দাবিতে এই আন্দোলন করছে ছাত্রলীগ। যদিও ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর ছাত্রলীগের এখানে নতুন কমিটি দেয়া হয়নি। তবুও আন্দোলনে ছাত্রলীগ সক্রিয় আছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত রোববার সন্ধ্যা থেকে আন্দোলন শুরু হয়। বিভিন্ন পদে ৭০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে আন্দোলনে নামে ছাত্রলীগ। বিকালের দিকে নবীনবরণ মঞ্চে ঘটে ভাঙচুরের ঘটনা। প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে রেজিস্ট্রার, প্রক্টর এবং উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন দ্বায়িত্বশীল শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাসে তারা মুক্ত হয়। কিন্তু আলোচনায় না বসায় সোমবার সকালে আবার তালা ঝুলিয়ে দেয় ছাত্রলীগ।
ছাত্রলীগের আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। বন্ধ হয়ে যায় প্রশাসনিক সকল ধরনের কার্যক্রম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনিক ভবনের সামনে মোতায়েন করা হয় পুলিশ।