হার্ভার্ডে ছেলের ভর্তিতে ১৫ লাখ ডলার ঘুষ, বাবাসহ গ্রেফতার ২

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

মেরিল্যান্ডের এক ব্যবসায়ী হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ফেন্সিং প্রশিক্ষককে কমপক্ষে ১৫ লাখ ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন। নিজের ছেলেকে ভর্তির জন্য প্রশিক্ষককে গাড়ি ও বাড়ি কেনার অর্থও দেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক্ট অব ম্যাসাচুসেটসের অ্যাটর্নি অফিস বলছে, জাই জ্যাক জাহো (৬১) ও পিটার ব্র্যান্ডকে (৬৭) গতকাল সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ফেডারেল প্রোগ্রামকে ঘুষ দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মেরিল্যান্ডের টেলিকম কোম্পানি আইটক গ্লোবাল কমিউনিকেশনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাহো। গতকাল গ্রিনবেল্টের ফেডারেল আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল তাঁর।

পিটার ব্র্যান্ড ১৯৯৯ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত হার্ভাডের ছেলে ও মেয়েদের ফেন্সিং প্রশিক্ষক ছিলেন। গত বছর তাঁর বিলাসবহুল বাড়ি বিক্রি নিয়ে বোস্টন গ্লোব প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বিষয়টি নিয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্তের পর তাঁকে বরখাস্ত করা হয়।

হার্ভার্ডে ভর্তি কেলেঙ্কারির তথ্য প্রথম জানাজানি হয় ২০১৯ সালে। কলেজে ভর্তি কেলেঙ্কারির ওই ঘটনায় সাম্প্রতিক এ গ্রেপ্তারের ঘটনা এখন বিষয়টিকে আরও সামনে আনছে। ওই কেলেঙ্কারির ঘটনায় ধনী ব্যক্তিরা মানসম্মত পরীক্ষাপদ্ধতির সঙ্গে প্রতারণা করে স্পোর্টস কোচদের ঘুষ দেন।

ইউএস অ্যাটর্নি অ্যান্ড্রু ই লেলিং বলেন, ‘এ মামলা কলেজে ভর্তির দুর্নীতির বিষয়টি উন্মোচন করতে আমাদের দীর্ঘ প্রচেষ্টার অংশ। প্রতিবছর লাখ লাখ তরুণ কলেজে ভর্তি থেকে বঞ্চিত হয়। আমরা যতটা পারি সবার জন্য সমান সুবিধা দেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে চাই।’

জ্যাক জাহোর আইনজীবী বিল ওয়েনরেব বলেছেন, জ্যাক জাহোর সন্তানেরা হাইস্কুলে একাডেমিক তারকা ছিলেন এবং আন্তর্জাতিক ফেন্সিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। তাঁরা নিজস্ব মেধায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। জাহো সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং এ নিয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন।

ব্র্যান্ডের আইনজীবী এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। এর আগে তিনি বলেছিলেন, তাঁর মক্কেল অন্যায় কিছু করেননি।

ষড়যন্ত্রের অভিযোগ প্রমাণিত হলে পাঁচ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে। অন্য যেসব অভিভাবক এর আগে এ ধরনের মামলায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন, তাঁদের কয়েক মাস জেল খাটতে হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কাকে ভর্তি নেওয়া হবে, কলেজের প্রশিক্ষকেরা তার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তবে অ্যাথলেটদের ভর্তির ক্ষেত্রে তাঁদের সুপারিশ গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
স্কুল-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের - dainik shiksha স্কুল-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের ঢাকাসহ ১৩ জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কাল বন্ধ - dainik shiksha ঢাকাসহ ১৩ জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কাল বন্ধ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৯ মে - dainik shiksha প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৯ মে বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ হাইকোর্টের - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ হাইকোর্টের প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নতুন নির্দেশনা টেম্পু চাপায় কলেজছাত্রী নিহত - dainik shiksha টেম্পু চাপায় কলেজছাত্রী নিহত কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029811859130859