বিখ্যাত ইংরেজ ঔপন্যাসিক স্যার হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড এর আজ জন্মদিন। তিনি ইতিহাস আশ্রিত দুঃসাহসিক কাহিনী নিয়ে উপন্যাস রচনায় ছিলেন সিদ্ধহস্ত। তিনি এমনসব অঞ্চল নিয়ে লিখেছেন যেগুলো ইংরেজদের কাছে ছিলো অনেকটাই অপরিচিত ও অদ্ভুত। সলোমনের গুপ্তধন তার সেরা কীর্তি হিসেবে পরিগণিত। এটি সাহিত্য জগতে একটি ক্লাসিক হিসেবে সমাদৃত হয়। এছাড়াও মেরি তার জনপ্রিয় লেখা ।
হেনরি ১৮৫৬ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে ইংল্যান্ডের নরফোকে জন্মগ্রহণ করেন। দশ ভাই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন অষ্টম। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে ভালো কোনো স্কুল-কলেজে পড়ার সৌভাগ্য হয়নি তার। মাত্র উনিশ বছর বয়সে নেটাল সরকারের চাকরি নিয়ে চলে যান দক্ষিণ আফ্রিকায়। ছ'বছর ওখানে কাটিয়ে আবার ফিরে আসেন ইংল্যান্ডে। এরপর তিনি আইনশাস্ত্রে লেখাপড়া শুরু করেন, পাশাপাশি মনোনিবেশ করেন লেখালেখিতে। ফলে পৃথিবী পায় ইতিহাসের বিখ্যাত লেখকদের একজনকে। একের পর এক চমকপ্রদ কাহিনী তিনি উপহার দিতে থাকেন পাঠকদের জন্য। চাকরিসূত্রে আফ্রিকা মহাদেশ সম্পর্কে প্রচুর জ্ঞান লাভ করেন হ্যাগার্ড, সেসব অভিজ্ঞতাই ছিল তার বইগুলোর মূল উপজীব্য।
হ্যাগার্ডের বিখ্যাত বইগুলোর মধ্যে কিং সলোমন্'স মাইনস্, শী, রিটার্ন অভ শী, অ্যালান কোয়াটারমেইন এবং দ্য পিপল অভ দ্য মিস্ট অন্যতম। ভাইয়ের সঙ্গে বাজি ধরেছিলেন হ্যাগার্ড যে, ট্রেজার আইল্যান্ড এর চেয়ে রোমাঞ্চকর বই লেখার ক্ষমতা তার আছে এবং কিং সলোমন্স মাইনস্ লিখে সত্যিই প্রমাণ করে দিয়েছিলেন সেটা। বইটি প্রকাশ পাবার পর রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বই এর মধ্যে আছে মন্টেজুমা'স্ ডটার, মর্নিং স্টার, পার্ল মেইডেন, দ্য ব্রেদরেন, অ্যালান এন্ড দ্য হোলি ফ্লাওয়ার ইত্যাদি।
নানা রকম পেশায় জড়িত ছিলেন হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড। রাজনীতির প্রতি তার বিশেষ ঝোঁক ছিলো। ১৯১২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি স্যার উপাধি পান। ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ মে এই খ্যাতিমান লেখক পরলোকগমন করেন।