গণতন্ত্রের মানসপুত্র, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জন্মদিন আজ। তিনি ১৮৯২ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
কলকাতা হাইকোর্টের খ্যাতনামা বিচারক জাহিদ সোহরাওয়ার্দির কনিষ্ঠ সন্তান ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। মা খুজাস্তা আখতার বানু ছিলেন নামকরা উর্দু সাহিত্যিক, আর দাদা স্যার আবদুল্লাহ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ। ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বেগম নেয়াজ ফাতেমাকে বিয়ে করেন। বেগম নেয়াজ ফাতেমা ছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্যার আবদুর রহিমের কন্যা। দেশ ভাগের আগে ভারত ও পাকিস্তানের পাশাপাশি অখণ্ড স্বাধীন বাংলা নামে একটি ‘ডমিনিয়ন রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের স্বরাজ পার্টিতে যোগদানের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে ফজলুল হক কোয়ালিশন মন্ত্রিসভার শ্রম ও বাণিজ্যমন্ত্রী, ১৯৪৩-৪৫ খ্রিষ্টাব্দে খাজা নাজিমুদ্দিনের মন্ত্রিসভায় বেসামরিক সরবরাহ মন্ত্রী, ১৯৪৬-৪৭ খ্রিষ্টাব্দে অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী, পাকিস্তান আমলে ১৯৫৪-৫৫ খ্রিষ্টাব্দে মোহাম্মদ আলীর মন্ত্রিসভার আইনমন্ত্রী এবং ১৯৫৬-৫৭ খ্রিষ্টাব্দে ১৩ মাস পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে ইস্কান্দার মীর্জা পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারির পর ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দের আগস্টে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে পাকিস্তানের রাজনীতিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দের ৫ ডিসেম্বর ৭১ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।