রাজশাহীর পুঠিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর মো. আশরাফুল হককে ১০ বছর আগে ৩দিন অনুপস্থিত দেখিয়ে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস সাত্তার। সেই থেকে ওই শিক্ষককে দেয়া হচ্ছে বেতনের অর্ধেক টাকা। এই অভিযোগ পেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর প্রধান শিক্ষকের কাছে ‘কেন শিক্ষকের পূর্ণ বেতন-ভাতা দেয়া হয় না’ সেই ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছে।
ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর মো. আশরাফুল হকের করা লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ৩দিনের অনুপস্থিত দেখিয়ে ২০০৮ খ্রিস্টাব্দের ৫ আগস্ট তাকে বরখাস্ত করেন পুঠিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুস সাত্তার। সেই থেকে তাকে দেয়া হচ্ছে অর্ধেক বেতন-ভাতা।
অভিযোগ আমলে নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর পুঠিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুস সাত্তারকে চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে কোন তথ্যের ভিত্তিতে ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর মো. আশরাফুল হককে বরখাস্ত করা হয়েছে তার ব্যাখ্যাসহ বিস্তারিত তথ্য অধিদপ্তরে দাখিল করতে বলা হয়েছে। এছাড়া কেন তাকে অর্ধেক বেতন-ভাতা দেয়া হচ্ছে এবং কেন পূর্ণ বেতন-ভাতা দেয়া হয় না তার ব্যাখ্যা ও তথ্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে প্রধান শিক্ষক মো. আবদুস সাত্তারকে।
জানা গেছে, দায়িত্ব পালনে অদক্ষতা ও সরকারি বিধি বা প্রজ্ঞাপন ভঙ্গের কারণে ইতিমধ্যে প্রধান শিক্ষক মো. আবদুস সাত্তারের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।