১১টি কাঠের খুঁটি দাঁড়িয়ে আছে কঙ্কালের মতো

মিলন কর্মকার রাজু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) |

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার আইউম পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের জায়গায় ভবন নেই। প্রতিষ্ঠাকালে টিনশেড ঘরের  ১১টি খুঁটি দাঁড়িয়ে আছে। চুরি হয়ে গেছে টিন, দরজা, জানালাসহ অন্যান্য মালামাল। সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি সরকারি নিলাম তালিকায় থাকলেও সঠিক মূল্য না ওঠায় নিলামে বিক্রি হয়নি। এ কারণে রাতের আঁধারে বিভিন্ন মালামাল চুরি হতে হতে এখন শুধু কয়টি কাঠের খুঁটিই দাঁড়িয়ে আছে।

১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত আইউম পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ হয় ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এই টিনশেড ঘরেই নিয়মিত ক্লাস হতো। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় পরবর্তীতে এ টিনশেড ঘরের পাশে আরও একটি টিনশেড স্কুল ঘর তৈরি করা হয়। ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যালয়ে পাকা স্কুল ঘর নির্মাণ করা হলে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে ওই টিনশেড স্কুল ঘর। ২০১২-১৩ অর্থ বছরে প্রথম ভবনের পাশে নির্মাণ করা হয় আরও একটি দ্বিতল স্কুল ভবন কাম সাইক্লোন সেল্টার। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে আবার এ দ্বিতল ভবনটি তৃতীয় তলায় বর্ধিত করা হয়।

কলাপাড়ার আইউম পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনের কাঠের কাঠামোটাই দাঁড়িয়ে আছে শুধু। ভবনের টিন ও কাঠ চুরি হয়ে গেছে অনেক আগে।        ছবি : মিলন কর্মকার রাজু

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে ১৬৪ জন শিক্ষার্থী ও পাঁচ জন শিক্ষক রয়েছে। বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে ২৩, চতুর্থ শ্রেণিতে ৩২, তৃতীয় শ্রেণিতে ২২, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২৮, প্রথম শ্রেণিতে ২৮ ও প্রাক প্রাথমিকে ৩১ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের আশেপাশের মানুষরাই রাতের আঁধারে স্কুল ঘরের টিন, খুঁটি, দরজা, জানালা খুলে নিয়েছে। শিক্ষকরা বিষয়টি জানেন, কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয় না। একই ভাবে পরিত্যক্ত অপর
টিনশেড ঘরের মালামাল চুরি হয়ে যাচ্ছে। অথচ সেটি এখনও নিলামে তোলা হয়নি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মজিবর রহমান জানান, পরিত্যক্ত বিদ্যালয়ের টিনশেড ঘর দুই বার নিলামে উঠলেও নির্ধারিত মূল্যে কেউই এই টিনশেড ঘর কিনতে রাজি হয়নি। এ কারণে অনেক মালামাল চুরি হয়ে গেছে। তবে কিছু মালামাল গুদাম ঘরে নিয়ে রেখেছেন বলে জানান। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের সামনে থাকা প্রাচীন টিনসেড স্কুল ঘর দুটি নিলামে বিক্রি হলে স্কুলের খেলার মাঠ আরও বড় হতো।

এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জালাল আহমেদ জানান, স্কুল ঘরের মালামাল চুরি হয়েছে কিনা বিষয়টি তাকে অবহিত করা হয়নি। যদি সরকারি স্কুলের মালামাল চুরি হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান - dainik shiksha সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! - dainik shiksha শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা - dainik shiksha লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষক কেনো বদলি চান - dainik shiksha শিক্ষক কেনো বদলি চান ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে - dainik shiksha ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0038490295410156