‘লকডাউনে’ ঢাকা, চট্টগ্রাম মহানগরসহ গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকাধীন সড়কে আজ বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অর্ধেক আসন খালি রেখে গণপরিবহন চলাচল করার নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সরকার। সরকারি-বেসরকারিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ও জনসাধারণের যাতায়াতে দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণপরিবহন চলাচলের বিষয়টি শর্ত প্রতিপালন সাপেক্ষে পুনর্বিবেচনা করে অনুমোদন দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তার বাসভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। তিনি জানান, গণপরিবহনে প্রতি ট্রিপের শুরু এবং শেষে জীবাণুনাশক দিয়ে গাড়ি জীবাণুমুক্ত এবং পরিবহন সংশ্লিষ্ট ও যাত্রীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কোনভাবেই সমন্বয়কৃত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না।
পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল যথারীতি বন্ধ থাকবে বলেও জানান সেতুমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজ ৭ এপ্রিল বুধবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে বলে জানান। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী করোনা সংক্রমণ বিস্তাররোধে সরকারের নির্দেশনাসমূহ যথাযথভাবে প্রতিপালনে পরিবহন মালিক শ্রমিক ও যাত্রীসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ গতকাল বলেন, ‘কাল (আজ) থেকে ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা রেখে ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়ায় এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সিটিতে বাস চালাব। কী পরিমাণ বাস চলবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঢাকা সিটিতে বাস আছে সাড়ে তিন হাজার । অবস্থা বুঝে চলবে আর কি প্যাসেঞ্জার (যাত্রী) পাওয়ার ভিত্তিতে। ‘লকডাউনের’ মধ্যে গণপরিহন চালু রাখার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবহন মালিক সমিতির এই নেতা।
এদিকে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী গতকাল বলেন, ‘গণপরিহনে স্বাস্থ্যবিধির কথা কাগজে-কলমে বলা থাকলেও প্রকৃত অর্থে স্বাস্থ্যবিধি কেউ অনুসরণ করেন না। গণপরিহন শ্রমিক, যাত্রী সবাই উদাসীন থাকেন।’ করোনার যে ভয়াল থাবা দেশে পড়েছে সেই প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘গণপরিবহন কিন্তু করোনা বিস্তারের অন্যতম উপাদান। তাই তৃতীয় পক্ষের কাউকে দায়িত্ব দিতে হবে যারা স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করবে। যদি সেই অনুসারে চলতে পারে একমাত্র তাহলেই গণপরিবহন চালু করা উচিত।’