দেশে ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম ১২ কেজিতে এবার ১৪১ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এর আগের মাসে এটি ৭৫ টাকা কমেছিল।
ঘোষিত নতুন দর আজ বুধবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে কার্যকর হবে। আগস্টের জন্য প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডারের দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ১৪০ টাকা। জুলাইয়ে এই দাম ছিল ৯৯৯ টাকা। এলপিজির ১২ কেজি সিলিন্ডার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় গৃহস্থালি রান্নার কাজে।
আজ বিইআরসি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন দর জানানো হয়। সংস্থাটি প্রতি মাসেই এলপিজির দাম নির্ধারণ করে। তবে সব জায়গায় কার্যকর হতে দেখা যায় না।
বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন নতুন এই দর ঘোষণা করেন। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল থেকে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো।
এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি।
বিইআরসির নতুন দর বলছে, বেসরকারি এলপিজির মূল্য সংযোজন করসহ (মূসক/ভ্যাটসহ) দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি প্রায় ৯৪ টাকা ৯৬ পয়সা, যা গত মাসে ছিল ৮৩ টাকা ২১ পয়সা। এই হিসাবে বিভিন্ন আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হবে।
তবে সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা এলপিজির দাম বাড়ানো হয়নি। আর গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার প্রায় ৫২ টাকা ১৭ পয়সা, যা এত দিন ছিল ৪৬ টাকা ৫৯ পয়সা।
বাজারে সাড়ে ৫ কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি পর্যন্ত বিভিন্ন আকারের সিলিন্ডার সরবরাহ করা হয়। গৃহস্থালি রান্নার পাশাপাশি রেস্তোরাঁ, পরিবহন, ছোট-বড় শিল্পকারখানাতেও এলপিজি ব্যবহার হচ্ছে। এই বাজারের ৯৯ শতাংশের বেশি বেসরকারি খাতের দখলে।