বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যে রোগ ধরতে পারেননি, সেটি নির্ণয় করে দেখিয়েছে চ্যাটজিপিটি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নির্ভর এই চ্যাটবটের সর্বশেষ সংস্করণের এমন সক্ষমতায় অনেকে অবাক হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ইনসাইডারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কভিড মহামারির সময় মার্কিন নারী কোর্টনির ৪ বছর বয়সী ছেলে অ্যালেক্সের মধ্যে বেশ কিছু উদ্বেগজনক লক্ষণ ধরা পড়ে। তার সারা শরীরে ব্যথা ছিল, হাতের কাছে যা পায় সেটাই চিবানোর চেষ্টা করে। শারীরিক বৃদ্ধিও ধীর হয়ে যায়। তিন বছরের মধ্যে প্রায় ১৭ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে গিয়েও হতাশ হন কোর্টনি।
পরে কোর্টনি চ্যাটজিপিটির মাধ্যমেই তার প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে থাকেন। চ্যাটজিপিটি জানায়, অ্যালেক্সের মেরুদণ্ডে অস্বাভাবিকতা দেখা দিয়েছে। পরে জানা যায়, চ্যাটজিপিটির তথ্যই সঠিক। কোর্টনি বলেন, ‘আমি অ্যালেক্সের এমআরআইয়ে যা কিছু ছিল, তা প্রত্যেক লাইন ধরে পড়ে চ্যাটজিপিটিতে উল্লেখ করেছিলাম।’ চ্যাটজিপিটির কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পর কোর্টনি এ সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশুদের পরিবারের ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হন এবং সেখানে অ্যালেক্সের মতো আরও অনেকের সম্পর্কে জানতে পারেন। কোর্টনি নতুন এক নিউরোসার্জনের কাছে চ্যাটজিপিটির থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে আলোচনা করেন। পরে সেই নিউরোসার্জন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) এ প্রোগ্রামটির অনুমান সঠিক বলে নিশ্চিত করেন।
ওই চিকিৎসক অ্যালেক্সের এমআরআই দেখে শিরদাঁড়ার ঠিক কোন জায়গায় সমস্যা হয়েছে, তা খুঁজে বের করেন। সম্প্রতি অ্যালেক্সের মেরুদণ্ড ঠিক করার জন্য অস্ত্রোপচার করা হয়। এখন সে সুস্থ হয়ে উঠছে। চ্যাটজিপিটি কোর্টনিকে তার ছেলে অ্যালেক্সের রোগ নির্ণয়ে সাহায্য করলেও চিকিৎসকরা বলছেন, চ্যাটজিপিটি অনেক সময় ভুল করতে পারে।