১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা আজ শুক্রবার সকালে শুরু হয়েছে। আজ দেশের আট জেলায় সকাল নয়টা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত স্কুল-২ ও স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কাল ১৩ জুলাই (শনিবার) সকাল নয়টা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত কলেজ পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা নির্ধারিত ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) এক কর্মকর্তা তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে এনটিআরসিএ এক চিঠিতে জানিয়েছে লিখিত পরীক্ষার চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ভেন্যু পরিবর্তন করা হয়েছে। ভেন্যুর তালিকা ইতিমধ্যে আট জেলার প্রশাসককে পাঠানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার ও কাল শনিবার অন্যকোনো প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার সূচি না রাখার অনুরোধও করেছে এনটিআরসিএ। পরীক্ষা অনুষ্ঠাতব্য জেলাগুলো হলো: বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, খুলনা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও সিলেট।
এর আগে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ ১৫ মে ১৮তম নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে। এতে উত্তীর্ণ হয় ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন প্রার্থী।
উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা স্কুল-২ পর্যায়ে ২৯ হাজার ৫১৬ জন, স্কুল পর্যায়ে ২ লাখ ২১ হাজার ৬৫২ জন এবং কলেজ পর্যায়ে ২ লাখ ২৮ হাজার ৮১৩ জনসহ সর্বমোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সার্বিক পাসের গড় হার ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ।
এনটিআরসিএ ১৮তম নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার যে ফল প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা গেছে বিপুল পরিমাণ প্রার্থী পাস করতে পারেননি। এতে দেখা গেছে, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ৮ লাখ ৬০ হাজারের বেশি প্রার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেননি।
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ১৮ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ প্রার্থী। পাস করেছেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন। তাই দেখা যাচ্ছে, পরীক্ষায় অংশ নিলেও ৮ লাখ ৬০ হাজার ৮৫২ জন পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি।
গত ১৫ মার্চ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের স্কুল/সমপর্যায় ও স্কুল পর্যায়-২–এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দেশের ৮টি বিভাগের ২৪ জেলা শহরে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। একই দিন বেলা সাড়ে তিনটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।