২২৯ ঝুঁকিপূর্ণ শিক্ষা ভবন নিয়ে এক বছর ধরে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার চিঠি চালাচালি

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক |

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক : বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২৯টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নিয়ে এক বছরের বেশি সময় ধরে চিঠি চালাচালি চলছে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে। এসব ভবনকে ‘ভূমিকম্প ঝুঁকিপূর্ণ নিরুপণ’ করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।

ভবনগুলোর মধ্যে রাজধানী ও আশপাশের আটটি প্রতিষ্ঠানের নির্মিত ‘৪৪টি’ ভবন পুননির্মাণ বা ভেঙে ফেলার জন্য তালিকাভুক্ত করেছে রাজউক। পাশাপাশি আট প্রতিষ্ঠানের অধীনে নির্মিত ১৮৭টি ভবনকে ‘মজবুতিকরণের’ (রেট্রোফিটিং) নির্দেশ দিয়েছে রাজউক।

গত বছরের ২৯ জানুয়ারি রাজউক ১৮৭টি ভবনকে মজবুতিকরণ ও ৪২টি ভবনকে ‘সিলগালা’ করতে আটটি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছিল। তাতে খুব একটা কাজ হয়নি। প্রায় সবকটি ভবন এখনও ব্যবহার হচ্ছে।

রাজউকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএসএমএমইউ’র (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) তিনটি ভবন ভেঙে ফেলতে হবে। ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলোজির তিনটি ভবন মজবুতিকরণ করতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ব বিদ্যালয়ের চারটি ভবন ভেঙে ফেলতে হবে।

স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের চারটি ভবন মজবুতিকরণ করতে হবে। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের ছয়টি ভবন মজবুতিকরণ ও একটি ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) ১০টি ভবন মজবুতিকরণ ও একটি ভবন ভেঙে ফেলতে হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের ১০টি ভবন মজবুতিকরণ ও তিনটি ভবন ভেঙে ফেলতে হবে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) ১৫৪টি ভবন মজবুতিকরণ ও ৩০টি ভবন ভেঙে ফেলার পরামর্শ দিয়েছে রাজউক। সবমিলিয়ে ১৮৭টি ভবন মজবুতিকরন ও ৪২টি ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ইইডির একজন জ্যেষ্ঠ প্রকৌশলী বলেন, ‘ভবন রেট্রোফিটিং অনেক ব্যয়বহুল। একটি চারতলা ভবন রেট্রোফিটিং করতে অন্তত ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকার প্রয়োজন হয়। এ ব্যয় কে বহন করবে?’

রাজউক ৪২টি ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়া হলেও সম্প্রতি নিজেদের ৪৪টি ভবন ভেঙ্গে ফেলা বা সিলগালা করার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

সংস্থাটি রাজধানী ও আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৪৪টি ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ ভবন খালি করে সিলগালা করা অথবা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। ভবনগুলো সাত দিনের মধ্যে সিলগালা করার কথা বলা হয়েছে।

রাজউকের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ইইডির আওতাভুক্ত ৩০টি শিক্ষা ভবন ভেঙে ফেলার জন্য গত বছরের ১৪ মার্চ ইইডির প্রধান প্রকৌশলীকে চিঠি দেয়া হয়েছিল রাজউক থেকে। চিঠিতে বলা হয়, ‘কারিগরি কমিটির রিপোর্ট অনুসারে তার আওতাধীন ৩০টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবন আগামী সাত দিনের মধ্যে খালি করত সিলগালা করে দেয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’

পরে একই বছরের ১৫ মার্চ রাজউকের পরিচালককে (প্রশাসন) দেয়া এক চিঠিতে ইইডির প্রধান প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘কারিগরি কমিটির রিপোর্ট অনুসারে অত্র দপ্তরের আওতায় ৩০টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন আগামী সাত দিনের মধ্যে খালি করত সিলগালা করে দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে যেগুলো অত্র অধিদপ্তরের আওতাধীন হিসেবে বর্ণিত হয়েছে। রিপোর্টটিতে তথ্যগত ভুল পরিলক্ষিত হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের আওতায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন করে থাকে। যে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য নির্বাচিত অবকাঠামোর নির্মাণ সমাপ্তির পর সেটি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’

এ কারণে নির্মিত ভবনগুলোর মালিকানা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত হয় উল্লেখ করে ইইডির চিঠিতে বলা হয়, ‘এমতাবস্থায়, কোন ভবন ভেঙে ফেলা বা ভবন খালি করে সিলগালা করার এখতিয়ার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের।’

ইইডির প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকায় মাত্র তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন এবং পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নির্মিত ভবনের শুধুমাত্র ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ ইইডি কর্তৃক সম্পন্ন হয়েছে।’

গত ৩ এপ্রিল মাউশির সহকারি পরিচালক (প্রকৌশল) আ. খালেক স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, রাজউকের (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) তালিকায় থাকা বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ভবনগুলো মজবুত করতে হবে। আর ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ ৪৪টি ভবন সাত দিনের মধ্যে খালি করে সিলগালা করতে হবে অথবা ভেঙে ফেলতে হবে।

মাউশি যেসব প্রতিষ্ঠানের ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে সেগুলো হলোÑ বাড্ডার আলাতুন্নেছা উচ্চমাধ্যমিক স্কুল, আলাতুন্নেছা উচ্চমাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাভারের ভাকুর্তা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জের দেলপাড়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, মিরপুর-১ নম্বরের সরকারি বাংলা কলেজ, নারায়ণগঞ্জের সরকারি কদম রসুল কলেজ, গাজীপুরের সরকারি কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজ, ডেমরার হায়দার আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মিরপুর ১৩ নম্বরের হাজী আলী হোসেন উচ্চবিদ্যালয়, পল্টনের আরামবাগ উচ্চবিদ্যালয়, সূত্রাপুরের কবি নজরুল সরকারি কলেজ, গাজীপুরের কালীগঞ্জ আর আর এন পাবলিক উচ্চবিদ্যালয়, কেরানীগঞ্জ বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, খিলগাঁও সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, গোড়ানের আলী আহমেদ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সায়েদাবাদের করাতিটোলা সিএমএস উচ্চবিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ, যাত্রাবাড়ীর শহীদ জিয়া বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাভারের ভাকুর্তার শ্যামলনগর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, তেজগাঁও মডেল উচ্চবিদ্যালয়, কদমতলীর একেকে উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড ব্রাইট কলেজ, বাড্ডার একেএম রহমাতুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, কদমতলীর কেএম মাইনুদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় (মিঠাব), আজিমপুরের অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কোতোয়ালি থানার আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি ও লালবাগের আনন্দময়ী বালিকা বিদ্যালয়।

জানতে চাইলে গোড়ান আলী আহমেদ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাসিমা পারভীন সংবাদকে বলেন, ‘দুই-তিন বছর আগে রাজউকের লোকজন এসে আমাদের ভবন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিল। এরপর তারা লিখিতভাবে কিছু জানায়নি। মাউশি ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরও কিছু বলেনি। এখন শুনছি দুটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ, ভেঙে ফেলতে হবে। এভাবে কোনো নোটিশ না দিয়ে, কিছু না জানিয়ে ভবন ভেঙে ফেললে আমরাতো ঝামেলায় পড়বো।’

এ বিষয়ে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন মুন্সী গত ৮ এপ্রিল সংসাদকে বলেন, ‘আমি আজকে মাউশির নোটিশ পেয়েছিল, বলা হয়েছে পাঁচতলা ভবনটি আর ব্যবহার করা যবে না।’

তিনি বলেন, ‘ইইডি ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে পাঁচতলা ডিজাইন ও ফাউন্ডেশনে দুতলা ভবন নির্মাণ করেছিল। এরপর আমরা নিজ উদ্যোগে এটিকে পাঁচতলা পর্যন্ত নির্মাণ করেছি। এখন হঠাৎ ভবনটি ভেঙে ফেলার কথা বলা হচ্ছে। তা করতে গেলে প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। পাঁচ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থী নিয়ে আমি কোথায় যাবো?’

অধ্যক্ষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘তিন-চার বছর আগে রাজউক ভবন পরীক্ষা করেছে; আমরা আজও কোনো রিপোর্ট পায়নি। আর ১২-১৪ বছরে একটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয় কীভাবে?’

ভবনগুলো ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার কারণ জানতে চাইলে মাউশির প্রকৌশলী আ. খালেক সংবাদকে বলেছেন, ভবনগুলো অনেক আগের। বেশিরভাগই প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ নিজেরাই নির্মাণ করেছে। এ কারণে অনেক ত্রুটি ছিল; অগ্নি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা সেভাবে নেই, ভূমিকম্প প্রতিরোধক ব্যবস্থাও নেই; ভবনগুলো নির্মাণকালীন সময়ের প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্তও সংরক্ষণে নেই বলে জানান তিনি।

রাজউকের তালিকায় ইইডির যে ৩০টি ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ ভবনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, এর সবকটি ইইডি নির্মাণ করেনি। এর তিনটি ভবন ইইডি কর্তৃক পুরোপুরি নির্মিত। আর পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্মিত ভবনের ‘শুধুমাত্র’ উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করেছে ইইডি। বাকি ২২টি ভবন প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ নিজস্ব উদ্যোগে নির্মাণ করেছে বলে ইইডির দাবি।

মাউশি বলছে, ‘আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প : রাজউক অংশ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ঢাকা মহানগর উন্নয়ন প্রকল্প-ডিএমডিপি এলাকার সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন সংস্থার মালিকানাধীন ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ ভবনগুলো ভেঙে ফেলার সুপারিশ করেছে।

প্রকল্পের আওতায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ‘ঢাকা মেট্রোপলিটান ডেভেলাপমেন্ট প্ল্যান’ (ডিএমডিপি) এলাকার সরকারি, আধাসরকারি, সায়ত্ত্বশাসিত বিভিন্ন সংস্থার মালিকানাধীন তিন হাজার ২৫২টি ভবনের (স্কুল, কলেজ, বিশ^বিদ্যালয়, হাসপাতাল ইত্যাদি) র‌্যাপিড ভিজ্যুয়াল অ্যাসেসমেন্ট, ৫৭৯টি ভবনের প্রিলিমিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসেসমেন্ট এবং ১৮৭টি ডিটেইল ইঞ্জিরিয়ারিং অ্যাসেসমেন্ট করে ভূমিকম্প ঝুঁকিপূর্ণ নিরুপণ করা হয়।

সূত্র : সংবাদ


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আইইউটির ৩ ছাত্রের মৃত্যু - dainik shiksha পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আইইউটির ৩ ছাত্রের মৃত্যু অনার্স কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণি বাদ দেয়া উচিত - dainik shiksha অনার্স কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণি বাদ দেয়া উচিত ভিকারুননিসা নূন স্কুলে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha ভিকারুননিসা নূন স্কুলে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রাথমিকে ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হচ্ছে - dainik shiksha প্রাথমিকে ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হচ্ছে স্কুল শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্ধিত করা উচিত - dainik shiksha স্কুল শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্ধিত করা উচিত নতুন পাঠ্য বইয়ে থাকছে শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধের বীরত্বগাথার গল্প - dainik shiksha নতুন পাঠ্য বইয়ে থাকছে শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধের বীরত্বগাথার গল্প শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি - dainik shiksha শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো - dainik shiksha ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে পঞ্চম পর্যায়ের ভর্তি আজকের মধ্যে - dainik shiksha গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে পঞ্চম পর্যায়ের ভর্তি আজকের মধ্যে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.00270676612854