২৯১ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরলেন কুবির মামুন

কুবি প্রতিনিধি |

ঈদের ছুটিতে যানজট এড়াতে দুই চাকার সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক শিক্ষার্থী। তার বাড়ি যশোর জেলার কেশবপুরে। ক্যাম্পাস থেকে বাড়ি পর্যন্ত যাত্রাপথে আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে ওই শিক্ষার্থী পাড়ি দিয়েছেন মোট ২৯১ কিলোমিটার। 

এ পথ পাড়ি দিতে মামুন সর্বমোট ৩১ ঘণ্টা সময় নিলেও সাইকেল চালিয়েছেন ১৯ ঘণ্টা ১৪ মিনিট। বাকি সময় যাত্রাবিরতি ও বন্ধুদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে ব্যয় করেছেন তিনি।

জানা যায়, গত শনিবার রাত পৌনে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হলের ফটক থেকে যাত্রা শুরু করে সোমবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে পৌঁছান তিনি।

আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমার অনেকদিনের ইচ্ছে ছিল সাইকেলে চড়ে বাড়ি ফেরা। বিভিন্ন ব্যস্ততায় তা কখনও হয়ে উঠেনি। তবে ঈদযাত্রায় সড়কে যানজট ও ভোগান্তির কথা মাথায় রেখেই আমি অনেকদিন আগে থেকেই এবার ঈদে সাইকেলে বাড়ি ফেরার পরিকল্পনা করেছিলাম। সেজন্য গত তিন মাস ধরে প্রস্তুতি নিয়েছি।’

কুবির এই শিক্ষার্থী জানান, ছোটবেলা থেকেই সাইক্লিংয়ের শখ তার। স্কুল-কলেজে থাকাকালীন সাইকেলে চড়েই যাতায়াত করতেন তিনি। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে যুক্ত হন সাইক্লিং গ্রুপ ‘সিওইউ সাইক্লিস্ট’ এর সঙ্গে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর থেকেই তার দুঃসাহসিক অভিযানগুলোতে সবসময় সহযোগিতা করে গেছে সংগঠনটি।’

মামুন এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে খাগড়াছড়ি ও গত বছরের জুনে ৩৬৬ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে শ্রীমঙ্গলসহ বিভিন্ন সময় আরও অনেক দূরের পথ অতিক্রম করেছেন বলে জানিয়েছেন। সব যাত্রা তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শুরু করেছিলেন।

ভবিষ্যতে সাইকেলে চড়ে দেশের বাইরে ভ্রমণ করার ইচ্ছা আছে জানিয়ে মামুন আরও বলেন, ‘রাইড করার অভিজ্ঞতা খুবই দারুণ। পথে পথে মানুষের ভালোবাসায় মুগ্ধ হই। তবে এবারে তাপমাত্রা বেশি থাকায় সুস্থ থাকাটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবু মনের জোরে সফল হতে পেরেছি।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিটি কাজই কঠিন মনে হবে। তবে কোনোকিছু অর্জন করার অদম্য স্পৃহা ও কর্মপ্রচেষ্টা থাকলে যেকোনো লক্ষ্যেই পৌঁছা সম্ভব।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন - dainik shiksha বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যার সমাধান হতেই হবে - dainik shiksha তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যার সমাধান হতেই হবে ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর - dainik shiksha ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী - dainik shiksha একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী আবাসিক হোটেলে শিক্ষার্থীদের অভিযান, হামলা - dainik shiksha আবাসিক হোটেলে শিক্ষার্থীদের অভিযান, হামলা শিক্ষকের ছোড়া স্কেলের আঘাতে শিক্ষার্থীর চোখ হারানোর অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষকের ছোড়া স্কেলের আঘাতে শিক্ষার্থীর চোখ হারানোর অভিযোগ ছাত্রলীগের মতো কলুষিত রাজনীতি করবে না ছাত্রদল - dainik shiksha ছাত্রলীগের মতো কলুষিত রাজনীতি করবে না ছাত্রদল কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0072081089019775