ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে। সব বেসরকারি অফিস এখন বন্ধ। কর্মীদের বেশির ভাগই হয়তো গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন। কিন্তু, শেষ আয়কর রিটার্ন দেয়ার খবর অফিসকে জানিয়েছেন তো? না জানালে অবশ্যই নিজের প্রতিষ্ঠানকে তা দ্রুত জানিয়ে দিতে হবে কর্মীদের।
অফিস খোলার পর আর দেরি না করে আয়কর রিটার্ন দেয়ার তথ্য অফিসকে জানাতে হবে। কারণ, ৩০ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে তাদের বেতনভুক্ত চাকরিজীবীদের
ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের রিটার্ন জমা দেয়ার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একটি সূত্র জানিয়েছে, বহু প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের আয়কর রিটার্নের তথ্য নিজ নিজ আয়কর সার্কেল অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছে।
২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে বাজেটে আয়কর অধ্যাদেশ সংশোধন করে বলা হয়, যেকোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পর্যায়ের কর্মীদের টিআইএন দেয়া বাধ্যতামূলক। কর্মীরা টিআইএন না নিলে খড়্গ পড়বে প্রতিষ্ঠানের ওপর। কারণ, আয়কর অধ্যাদেশের ৩০ ধারা সংশোধন করে বলা হয়েছে, কোনো কর্মী টিআইএন না নিলে ওই কর্মীর বেতন-ভাতাকে খরচ হিসেবে দেখাতে পারবে না নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। পরে অবশ্য এই শর্ত শিথিল করা হয়।
পরের বছর চাকরিজীবীদের জন্য শুধু টিআইএন দেয়া বাধ্যতামূলক নয়, রিটার্ন দেয়াও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাশাপাশি চাকরিজীবীর প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে, আয়কর অধ্যাদেশের ১০৮ (এ) ধারা অনুয়ায়ী প্রতিবছর ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ওই প্রতিষ্ঠানের কোন কোন কর্মী রিটার্ন জমা দিয়েছেন তাঁদের নাম, টিআইএন (কর শনাক্তকরণ নম্বর), কর অঞ্চল, সার্কেল ইত্যাদি তথ্য জানাতে হবে।
জানা গেছে, কোনো কর্মী রিটার্নের তথ্য না জানালে ওই কর্মীর বেতনের ওপর ৩০ শতাংশ হারে কর আরোপ করা হবে।
এনবিআর সূত্র জানা যায়, দেশে বর্তমানে কোম্পানি করদাতা হিসেবে ১ লাখ ৬৬ হাজার প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত আছে। এর মধ্যে বছরে ২৮ থেকে ২৯ হাজার কোম্পানি রিটার্ন জমা দেয়। বর্তমানে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের মধ্যে প্রতিবছর রিটার্ন জমা দেন প্রায় ৩০ লাখ টিআইএনধারী। আর বেসরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে ৭ লাখের মতো রিটার্ন জমা দেন।