বছর ৩০ আগে ভারতে পড়তে এসে চরম আর্থিক সংকটে পড়েছিলেন কেনিয়ার রিচার্ড টোঙ্গি। দেশে ফেরার সময় স্থানীয় মুদি দোকানির ২০০ রুপি ধার শোধ করতে পারেননি। তবে ঋণের কথা ভুলে যাননি তিনি।
কেনিয়ায় ফিরে দুর্দিনে পাশে থাকা মানুষটির কথা তিনি সব সময়ই মনে করেছেন। নিজের কর্মেরগুণে এক সময় তিনি দেশটির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জীবনে এত সাফল্যের পরও তিনি তার দুর্দিনের কথা ভুলেননি, ভুলেননি সেই মুদি দোকানির কথা। তাইত বিবেকের তাড়নায় তিনি ছুটে আসেন ভারতে। স্ত্রী মিশেলকে নিয়ে তিনি দেখা করলেন কাশীনাথ গাওলির পরিবারের সঙ্গে।
সোমবার সাক্ষাতের সময় বারবার আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন দুজনই। মুদি দোকানি কাশীনাথ বলেন, ‘সুদূর কেনিয়া থেকে ফোনটা পেয়ে বিশ্বাস করতে পারিনি তিনি যে এখানে আসবেন।’ ১৯৮৫-৮৯ সালের কথা। স্থানীয় কলেজে ম্যানেজমেন্ট পড়তে আসেন রিচার্ড। তার কথায়, ‘মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে পড়ার সময় অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তখন ‘গাওলি’ কাকা ও তার পরিবার আমায় সাহায্য করেন। তখনই ভেবেছিলাম, একদিন এ ঋণ শোধ করবই।
রিচার্ড ও তার স্ত্রীকে হোটেলে নিয়ে বিশেষ আতিথেয়তা করতে চাইলেও রিচার্ড কাশীনাথের বাড়িতেই ঘরোয়াভাবে আতিথ্য গ্রহণ করেন। দেশে ফেরার আগে গাওলি কাকাকে কেনিয়া যাওয়ার আমন্ত্রণও জানান রিচার্ড টোঙ্গি।