সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা নির্ধারণে গঠিত কমিটির প্রধান আব্দুল মূয়ীদ চৌধুরী বলেছেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ এর দাবি যৌক্তিক। বয়সসীমা বাড়ানো উচিত। তবে পর্যালোচনা কমিটি সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে বয়সসীমা কতটা বাড়ানো যায়।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে ৩৫ প্রত্যাশীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বয়স বৃদ্ধির দাবিতে যারা আন্দোলন করছে তাদের সঙ্গে আমরা বসেছিলাম৷ সরকারের বর্তমান নীতিমালা এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ও সার্বিক পরিস্থিতির আলোকে সবকিছু চিন্তা করে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব৷ বয়স বৃদ্ধি করার যৌক্তিকতা আছে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷
কী যৌক্তিকতা আছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কোভিড, সেশন জটে অনেকের সমস্যা হয়েছে৷ এখনকার চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো উচিত৷
এদিকে ৩৫ প্রত্যাশী আন্দোলনের সমন্বয়কারী রাসেল আল মাহমুদ বলেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ এর দাবিতে বাস্তবসম্মত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন কমিটির আহ্বায়ক।
তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী একটা যৌক্তিক সমাধান হবে। শর্ত সাপেক্ষে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্মুক্ত থাকবে চাকরিতে প্রবেশের বসয়সীমা।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা নির্ধারণে কমিটি করার কথা জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান। কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
জনপ্রশাসন সচিব জানান, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে পর্যালোচনা ও সুপারিশ প্রদানের লক্ষ্যে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মূয়ীদ চৌধুরীকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সিনিয়র সচিব বলেন, এই কমিটি সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের দাবি এবং চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের যৌক্তিক বয়সসীমা নির্ধারণের বিষয়ে সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেবে।
কমিটিকে আগামীর সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কমিটিতে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। কমিটির আহ্বায়ককে ক্ষমতা ও এখতিয়ার দেয়া হয়েছে যেকয়জন সদস্য প্রয়োজন উনি কমিটিতে নেবেন।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন হচ্ছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর এই দাবিতে বিক্ষোভকারীরা প্রধান উদদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান নিলে তাদের ওপর টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। তবে ওই দিনই কমিটি গঠন করা হয়।