সুতীর্থ বড়াল, দৈনিক শিক্ষাডটকম: রুলের কপি পাওয়া যায়নি। শেষ কর্মদিবসও শেষ ৯ এপ্রিল। সুতরাং ১৫ এপ্রিলের আগে আদালত থেকে রুলের কপি পাওয়ার সুযোগ নেই। প্রথমেই কপি সংগ্রহ করবে এনটিআরসিএ। তারপর তাদের নিজস্ব আইনজীবীরা কারণ দর্শানোর জবাব প্রস্তুত করবেন। একই সঙ্গে দেখবেন ডিরেকশনে আসলে কি বলা হয়েছে? সরাসরি আবেদন করার সুযোগ দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত নাকি জন প্রশাসনের ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের সেই বয়স ছাড় সংক্রান্ত পরিপত্রের আলোকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে। এমনটাই জানিয়েছেন এনটিআরসিএর কর্তারা। ৯ এপ্রিল বিকেলে কথা হয় একজন কর্মকর্তার সঙ্গে। তিনি বলেন, দৈনিক শিক্ষার একটা লাইভ দেখেছি। একটা অথেনটিক প্রতিবেদন দেখেছি। রিটকারী দুইজনের দুটো ভিডিও দেখেছি দৈনিক শিক্ষাডটকম-এ।
আরো পড়ুন: যোগ্য শিক্ষকেই সুযোগ্য বিচারক
কপি হাতে পেলে কি করবেন, দৈনিক শিক্ষাডটকমএর এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চেম্বার আদালতে যাবো। এছাড়া রুলের কপি পাওয়ার আগে কিছু বলা যাবে না।’ বয়স ছাড়ের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন ও গণবিজ্ঞপ্তিতে ছাড়ের বিষয়টি তো আপনারা সাংবাদিকরা তুলে ধরেছেন ইতিমধ্যে, যোগ করেন তিনি।
সর্বশেষ অর্থাৎ ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও বয়সের বাধায় যারা পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারবেন না বলে মনে করছেন তারা উচ্চ আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছিলেন। আবেদনের সুযোগ চেয়ে রিট পিটিশন করেছিলেন ১৭০ জনের মতো। পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির আবেদন শুরু ১৭ এপ্রিল।
রিটকারীদের একজন মো. ইউসুফ। তিনি ৯ এপ্রিল দুপুরে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘আমাদের আইনজীবী আমাদেরকে জানিয়েছেন যে, গতকাল শুনানি হয়েছে, আজ রুল জারি হয়েছে। রুলের মূল কপি পাওয়া যায়নি । তাই আইনজীবীর প্রিন্টেড প্যাডে রুল সংক্রান্ত সার্টিফিকেট আমরা পেয়েছি। এতে ৩৫ প্লাস বয়সী ১৭তম নিবন্ধনধারীদেরকে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের জন্য যথাযথ বয়স ছাড় না দেয়া কেন অবৈধ হবে না মর্মে কারণ দর্শাতে এনটিআরসিএকে বলা হয়েছে।’
আইনজীবীর সার্টিফিকেটের বরাত দিয়ে ইউসুফ আরো দাবি করেন যে, ‘হাইকোর্ট এনটিআরসিএকে ডিরেকশন দিয়েছে যেন তাদেরকে বয়স ছাড় সংক্রান্ত জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের প্রজ্ঞাপনের আলোকে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ দেয়া হয়। ’
বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন বলে রিটকারীদের আইনজীবী জানিয়েছেন।
এদিকে ১৭তম পরীক্ষায় নিবন্ধিত ও ৩৫ প্লাস বয়সী কয়েকজন নিবন্ধিত ব্যক্তি দুই বিচারপতির দেয়া রুলকে রায় বলে ফেসবুক গ্রুপে বর্ণনা করেছেন, যা সঠিক ব্যাখ্যা নয় বলে জানতে পেরেছে দৈনিক শিক্ষাডটকম।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।