বরিশালের মুলাদী উপজেলায় ৩৬ বছরের পুরোনো জরাজীর্ণ ভবনে চলছে সাহেবেরচর হামিদিয়া দাখিল মাদরাসার পাঠদান কার্যক্রম। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। বৃষ্টি হলে ছাদ ভেদ করে পড়ে পানি। পলেস্তারা খসে অনেক সময় শিক্ষার্থী আহতের ঘটনাও ঘটে। ফলে আতঙ্ক নিয়ে ক্লাস করতে হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
মাদরাসার পুরোনো ভবন ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য একাধিকবার আবেদন করা হলেও বরাদ্দ পাওয়া যায়নি বলে জানান মাদরাসার সুপার। তবে দ্রুত সমস্যা সমাধানের কথা জানিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
জানা গেছে, মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নে ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে সাহেবেরচর হামিদিয়া দাখিল মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রাথমিকভাবে একটি টিনের ঘরে পাঠদান শুরু হয়। পরে ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দে সরকারি বরাদ্দে একটি একতলা ভবন নির্মাণ হয়। এরপর ৩৬ বছর পেরিয়ে গেলেও মাদরাসার নতুন কোনো ভবন নির্মাণ হয়নি।
মাদরাসার সুপার মো. মোনায়েম হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে মাদরাসায় প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষক রয়েছেন ১৬ জন। কক্ষ-সংকটে পুরোনো ভবন এবং জরাজীর্ণ টিনের ঘরে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে হচ্ছে। এ ছাড়া শিক্ষকদের বসার জন্য ভালো কোনো কক্ষ দেওয়া যাচ্ছে না। শ্রেণি কার্যক্রম চলাকালে পুরোনো ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মাদরাসায় পাঠিয়ে অভিভাবকেরা আতঙ্কে থাকেন। বড় দুর্ঘটনার শঙ্কায় থাকেন শিক্ষকেরা। ভবনটি ভেঙে নতুন ভবনের জন্য একাধিকবার আবেদন করা হলেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি।’
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আয়শা বলে, ‘২৩ অক্টোবর পাঠদান চলাকালে ছাদের পলেস্তারা খসে সুমাইয়া নামের এক সহপাঠী আহত হয়। এ ছাড়া প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। ভবনের দেয়াল ও ছাদের পলেস্তারা খসে মরিচা ধরা রড বেরিয়ে পড়েছে। বৃষ্টি হলে ছাদ ভেদ করে পানি পড়ে বই-খাতা নষ্ট হয়ে যায়। ভবনের ছাদ ভেঙে পড়ারও আশঙ্কা রয়েছে।’
জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, পুরোনো ভবনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনেক কষ্টে শ্রেণি কার্যক্রম করছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।