৩৭ বছর বন্ধুর দেখা নেই, খোঁজ পেতে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন

দেনিকশিক্ষা ডেস্ক |

‘সাক্ষাৎ চাই’ শিরোনামে একটি দৈনিক পত্রিকায় একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছেন সুদূর জার্মানি থেকে দেশে আসা মহিরুদ্দিন নামে এক প্রবাসী। তিনি বর্তমানে নড়াইলে অবস্থান করছেন। সাক্ষাৎ চাই বিজ্ঞাপনে বন্ধুকে দেখার আকুলতার কথা ফুটে উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৮৬ বা ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দে জার্মানির ডর্টমাউন্ড শহরে পরিচয় হওয়া হারুনর রশীদ/ শেখ রশীদ নামের এক বন্ধুকে খুঁজছেন জার্মানপ্রবাসী মহিরুদ্দিন। সম্প্রতি দেশে এসে জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন দিয়ে তার সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।

শুক্রবার (৩ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জার্মানি প্রবাসী মহিরুদ্দিন। তিনি বলেন, প্রায় ৩৭ বছর আগে শেখ রশীদ নামের ওই ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয়। তখন দুজনের বয়স ২৫ বছরের মতো হবে।

মহিরুদ্দিন বলেন, ‘আমরা বন্ধু ছিলাম। অনেক দিন খোঁজ নেই তার। তার নাম হারুনুর রশিদ বা শেখ রশিদ ছিল। ঢাকায় এসেছি সম্প্রতি। আরও প্রায় মাস খানেক থাকব। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হলে ভালো লাগবে। তবে তার কোনো ছবি আমার কাছে নেই।

ওই বিজ্ঞাপনে লেখা হয়েছে, ‘আমি মহিরুদ্দিন ১৯৮৬/৮৭ খ্রিষ্টাব্দে জার্মানির ডর্টমাউন্ড শহরে অবস্থানকালে হারুনুর রশিদ/শেখ রশিদ নামে একজন সেখানে ছিল। যথাসম্ভব তার বাড়ি ফরিদপুর জেলার মধুখালী। ওই সময়ের পর থেকে অনেক চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করতে পারি নাই। তোমাকে দেখার খুব ইচ্ছে। কেহ সন্ধান দিলে খুব খুশি হব। সাক্ষাৎপ্রার্থী মহিরুদ্দিন।

এদিকে এ বিষয়ে মধুখালী পৌরসভার মেয়র খন্দকার মোরশেদ রহমান লিমন বলেন, আসলে এভাবে খুঁজে পাওয়া একটু কষ্টকর। যদি ছবি অথবা বাবার নাম থাকতো তাহলে খুঁজে পেতে সহজ হতো। তারপরও পৌরসভার কেউ জার্মানিতে থাকে কিনা বা ছিল কিনা খোঁজ খবর নিয়ে ওই নম্বরে জানানোর চেষ্টা করবো।

এ বিষয়ে মধুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল হক বকু বলেন, বিষয়টি আশ্চর্যজনক হলেও বন্ধু প্রতি বন্ধু ভালোবাসা দেখে বেশ ভালো লাগছে। মধুখালীর কেউ জার্মানিতে থাকে বা ছিল এরকম কোন খোঁজ জানা নেই। তারপরও বিষয়টি বিভিন্নস্থানে খোঁজ খবর নিবো।

এ বিষয়ে মধুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম  বলেন, জার্মানিতে ছিল বা থাকে এমন কোনো ব্যক্তির সন্ধান জানা নেই। অন্যান্য দেশে থাকে এমন লোক অনেকই আছে। তারপরও বিভিন্ন স্থানে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে দুই বন্ধুর জন্য সহযোগিতার চেষ্টা করবো।

এ বিষয়ে মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো শহিদুল ইসলাম  বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে পরবর্তীতে জানানোর চেষ্টা করবো।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর - dainik shiksha শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি - dainik shiksha মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী - dainik shiksha আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই - dainik shiksha প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে - dainik shiksha জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ - dainik shiksha বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য - dainik shiksha এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা - dainik shiksha অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর - dainik shiksha ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন - dainik shiksha বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী - dainik shiksha একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0046191215515137