৪১ জনকে প্রধান শিক্ষক পদে গেজেটভুক্ত করার নির্দেশ

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : জাতীয়করণ করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪১ জনকে সহকারী শিক্ষকের পরিবর্তে প্রধানশিক্ষক পদে গেজেটভুক্ত করার নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিচারপতি নাইমা হায়দার এবং বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চ এই রায় দেন। জাতীয়করণ করা ৪১ জন জাতীয়করণের আগে প্রধানশিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকের করা রিটের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে এই আদেশ দেন আদালত।

 

রিটের পক্ষের আইনজীবী বলেন, সদ্য জাতীয়করণ করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪১ জনকে জাতীয়করণের আগের প্রধানশিক্ষক পদে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে সারাদেশের ২৬ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ তালিকায় আনে সরকার। পরে পর্যায়ক্রমে ওই বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ১ জানুয়ারি থেকে সরকারি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে অফিস আদেশ জারি করে।

আইনজীবী বলেন, এক্ষেত্রে যেসব শিক্ষক যে পদে নিয়োগ পেয়েছেন (জাতীয়করণের আগের কমিটি কর্তৃক), তাদের জাতীয়করণের পর স্ব স্ব পদে নিয়োগ দেয়া হয়। অর্থাৎ প্রধান শিক্ষকদের প্রধানশিক্ষক হিসেবে এবং সহকারী শিক্ষকদের সহকারী শিক্ষক হিসেবে বহাল রাখা হয়।  কিন্তু ওই রিটকারীরা কমিটির মাধ্যমে প্রধানশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেলেও তাদের জাতীয়করণের পর সহকারী শিক্ষক রাখা হয়।

তিনি আরও বলেন, আগের শিক্ষকদের সঙ্গে যা বৈষম্যমূলক। তাই রিটকারীরা ওই আদেশে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধানশিক্ষক পদের গেজেট দেয়ার জন্য রিট করেন। রুলের শুনানি শেষে এদিন চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে রায় দেন হাইকোর্ট। এই রায়ের ফলে রিটকারী ৪১ জন প্রধানশিক্ষক হিসেবে গেজেট পেতে আইনি পথ সুগম হলো। রিটকারীরা ন্যায়বিচার পেয়েছেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায় এ ধরণের রায় হয়ে থাকলে মন্ত্রণালয় রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
সরকারি চাকরি থেকে ২০ শিক্ষককে অব্যাহতি - dainik shiksha সরকারি চাকরি থেকে ২০ শিক্ষককে অব্যাহতি ইউজিসি চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্বে বহাল থাকছেন অধ্যাপক আলমগীর - dainik shiksha ইউজিসি চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্বে বহাল থাকছেন অধ্যাপক আলমগীর চার তারিখের মধ্যে মাদরাসা শিক্ষকদের এমপিওর আবেদন - dainik shiksha চার তারিখের মধ্যে মাদরাসা শিক্ষকদের এমপিওর আবেদন ত্রাণ দিতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা, আহত ১২ চবি শিক্ষার্থী - dainik shiksha ত্রাণ দিতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা, আহত ১২ চবি শিক্ষার্থী ব্যাংকের অনিয়ম তদন্তে কমিশন গঠন হচ্ছে - dainik shiksha ব্যাংকের অনিয়ম তদন্তে কমিশন গঠন হচ্ছে শীট মেশিন সম্বলিত প্রতিষ্ঠানের জন্য পুনরায় দরপত্র দাবি - dainik shiksha শীট মেশিন সম্বলিত প্রতিষ্ঠানের জন্য পুনরায় দরপত্র দাবি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0032889842987061