৪৩তম বিসিএসের ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ চলতি সপ্তাহে করা হতে পারে। রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) একাধিক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। এদিকে আজ সোমবার সকালে পিএসসির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তির চেয়েও বেশি ক্যাডার এ বিসিএসের মাধ্যমে নিয়োগ পাবেন।
পিএসসির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, ৪৩তম বিসিএসের ক্যাডার এবং নন-ক্যাডারের ফল তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। খাতা স্ক্রিনিংয়ের কাজও প্রায় শেষ। আগামী মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে যে কোনো দিন নিয়োগের সুপারিশ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ক্যাডার, নন-ক্যাডার মিলিয়ে ৪৩তম বিসিএসের মাধ্যমে তিন হাজারের অধিক প্রার্থীকে নিয়োগ সুপারিশ করার কথা। তবে এর সঙ্গে ক্যাডার পদে আরও অন্তত ৪০৪টি পদ যুক্ত হবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৯৫টি পদ কৃষিতে থাকতে পারে। এ ছাড়া প্রাণিসম্পদে ৮৪, কর ৮২, খাদ্যে ২৪ ও রেলওয়ের (ইঞ্জিনিয়ারিং) ১৯টি পদ বাড়ানো হতে পারে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিএসসির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ৪৩তম বিসিএসের ক্যাডার ও নন-ক্যাডারে নিয়োগ সুপারিশ চলতি সপ্তাহে করা হবে। এজন্য বন্ধের দিনও কাজ চলছে। দ্রুত এ বিসিএসের নিয়োগের সুপারিশ করা হবে।
পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘৪৩তম বিসিএসের ক্যাডার এবং নন-ক্যাডারের নিয়োগ সুপারিশের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আশা করছি, চলতি সপ্তাহে এ বিসিএসের নিয়োগ সুপারিশ করা যাবে।’
২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ অক্টোবর ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়। গত বছরের জুলাইয়ে লিখিত পরীক্ষা শুরুর হয়েছিল। গত ২০ আগস্ট ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৮৪১ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ৪৩তম বিসিএসের বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর সঙ্গে আরও ৪০৪টি পদ বাড়ছে। এর সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্য হতে নন-ক্যাডার পদে এক হাজার ৩৪২ জনকে নিয়োগ সুপারিশের কথা জানিয়েছে পিএসসি।