দৈনিকশিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডারের ফল বাতিল, আগের বিসিএসগুলোর মতো লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিন্তু ক্যাডার না হওয়া প্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ নন-ক্যাডার তালিকা প্রকাশ এবং ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক শূন্যপদে নন-ক্যাডারদের সুপারিশ অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন এ দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন নন-ক্যাডার প্রার্থী হালিমা আক্তার। এ সময় প্রার্থীদের আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লবসহ অন্যান্য প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, দাবি আদায়ে এরই মধ্যে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইনসহ তিনজনকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। প্রার্থীরা চান, তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাদের দাবি পূরণে সরকার উদ্যোগী হোক। এর ব্যত্যয় হলে নোটিশকারীদের পক্ষে দ্রুতই উচ্চ আদালতে ন্যায়বিচার চেয়ে আবেদন করা হবে।
লিখিত বক্তব্যে হালিমা আক্তার জানান, ৪০তম বিসিএসে ৯ম গ্রেডে ১ হাজার ৬০৪টি, ৪১তম বিসিএসে ১ হাজার ৪৩টি ও ৪৩তম বিসিএসে ১৯৬টি; ১০ম গ্রেডে ১ হাজার ১০৮টি, ২ হাজার ৬০১টি ও ৮৬১টি; ১১তম গ্রেডে ৪০টি, ১৮টি ও ৬টি এবং ১২তম গ্রেডে ১ হাজার ৭২৬টি, ৩৯১টি ও ২৭৯টি পদ ছিল। সব মিলিয়ে ৪০তম বিসিএসে নন-ক্যাডারের পদ ছিলো ৪ হাজার ৪৭৮ টি, ৪১তম বিসিএসে ৪ হাজার ৫৩টি এবং ৪৩ তম বিসিএসে ১ হাজার ৩৪২টি। এর মধ্যে সুপারিশ পেয়েছেন যথাক্রমে ৩ হাজার ৬৫৭ জন, ৩ হাজার ১৬৪ জন এবং ৬৪২ জন।
তিনি জানান, ৪৩তম বিসিএসে শ্রম অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক পদের ১৪টি, জনসংখ্যা ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তার ৬টি, শ্রম কর্মকর্তার ৫টি এবং অর্থ বিভাগের এসএএস সুপারিনটেনডেন্টের ২৯টিসহ মোট ৫৪টি পদ প্রত্যাহার করে চরম প্রহসন করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বিসিএসের মাধ্যমে পূরণযোগ্য প্রায় লক্ষাধিক পদ এখনো খালি রয়েছে। কিন্তু এরপরও নন-ক্যাডার প্রার্থীদের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, ৪১, ৪৩ ও ৪৪তম বিসিএসের অধিকাংশ প্রার্থী করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত। এ সময়ে নন-ক্যাডার নিয়োগ না হওয়া ও অন্যান্য নিয়োগ স্থগিত থাকায় অনেকেরই চাকরিতে আবেদনের বয়স শেষ হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে পিএসসির যতোটুকু আন্তরিক হওয়া দরকার ছিলো, তেমনটি তারা করেননি। এর ফলে পিএসসির বিরুদ্ধে আন্দোলন এখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি বর্তমান সরকার ও দেশের জন্য নেতিবাচক। পিএসসির নেতিবাচক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রার্থীদের পক্ষে মারুফ হোসেন, হাসান সরদার, ফারুকুল ইসলামসহ ৫০০ জনের পক্ষে পিএসসি চেয়ারম্যানসহ পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট তিন জনকে ডাকযোগে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির পল্লব।