৪৫ দিনের ছুটি নিয়ে ৫ বছর লাপাত্তা শিক্ষিকা

দৈনিক শিক্ষাডটকম, কুড়িগ্রাম |

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রায় পাঁচ বছর ধরে বিদেশে অবস্থান করার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক মাহফুজা খাতুনের বিরুদ্ধে। বিদ‍্যালয় পরিচালনা কমিটির অভিযোগ, বিষয়টি একাধিকবার মৌখিকভাবে শিক্ষা দপ্তরকে জানানো হলেও কোনো কাজ হয়নি। অপরদিকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন শিক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তা। 

মাহফুজা খাতুন কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায়  উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণ তিলাই সরকারি প্রাথমিক বিদালয়ের সহকারী শিক্ষক। 

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ তিলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহফুজা খাতুন ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ জুন থেকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাঁর স্বামী সরকারি চাকরির সুবাদে মরক্কোতে কর্মরত আছেন। মাহফুজা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে সেখানেই অবস্থান করছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্বে) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সহকারী শিক্ষক মাহফুজা খাতুন ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়েছিলেন। একই বছর বিদেশ গমনের জন্য ৪৫ দিনের ছুটি নেন। সেই থেকে তিনি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। তবে তিনি বেতন পাচ্ছেন কি না কিংবা তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না, অফিশিয়ালি আমি জানি না।’

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বর্তমান সভাপতি খয়বর আলী ও সাবেক সভাপতি আব্দুস সামাদ প্রামাণিক বলেন, বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক প্রায় পাঁচ বছর ধরে বিদ্যালয়ে আসেন না। তাঁর স্বামী সরকারি চাকরির সুবাদে মরক্কোতে কর্মরত। তিনি স্বামীর সঙ্গে সেখানেই অবস্থান করছেন। শিক্ষা দপ্তরে বিষয়টি অসংখ্যবার মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। পদ ধরে রাখার কারণে অন্য কোনো শিক্ষক এই বিদ‍্যালয়ে বদলি হয়ে আসতে পারছেন না। শিক্ষকসংকটে বিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে মাহফুজা খাতুনের মেসেঞ্জারে একাধিকবার খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি কোনো জবাব দেননি। কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন সরকার বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক যেদিন থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন, সেদিন থেকে তাঁর বেতন বন্ধ রয়েছে। তাঁকে চাকরি থেকে অব্যাহতিদানের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু, ক্ষতিগ্রস্ত ৪৫ লাখ - dainik shiksha বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু, ক্ষতিগ্রস্ত ৪৫ লাখ স্কুল-কলেজ ভবন নির্মাণে ৫ শতাংশ কমিশন নিতেন দীপু মনির ভাই টিপু - dainik shiksha স্কুল-কলেজ ভবন নির্মাণে ৫ শতাংশ কমিশন নিতেন দীপু মনির ভাই টিপু বন্যার্তদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে সহায়তা পাঠাবেন যেভাবে - dainik shiksha বন্যার্তদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে সহায়তা পাঠাবেন যেভাবে ঢাবি অধিভুক্ত ও উপাদানকল্প কলেজে ভর্তির টাকা জমা দেয়ার সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha ঢাবি অধিভুক্ত ও উপাদানকল্প কলেজে ভর্তির টাকা জমা দেয়ার সময় বৃদ্ধি নতুন শিক্ষাক্রম সংস্কার নয়, বাতিল চাই - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম সংস্কার নয়, বাতিল চাই দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0047099590301514