৪ শিশুকে সাজা দেয়া সেই ম্যাজিস্ট্রেটের বিচারিক ক্ষমতা প্রত্যাহারের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

চার শিশুকে প্রিজন ভ্যানে করে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো বরিশালের বাকেরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনায়েত উল্লাহর বিচারিক ক্ষমতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

রোববার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত থাকা বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ৮ পুলিশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পুলিশ প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

পাশাপাশি সমাজসেবা অফিসারের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে এবং শিশু আইনে পুলিশের ভূমিকা কী থাকবে সেটি প্রজ্ঞাপন দিয়ে জানাতে বলেছে আদালত।

আদালতে চার শিশুরপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম, তার সঙ্গে ছিলেন জামিউল হক ফয়সাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নাওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

গত বছরের ১১ অক্টোবর চার শিশুকে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশদানকারী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনায়েত উল্লাহ এবং ওই শিশুদের গ্রেপ্তার করে থানায় মীমাংসা না করে প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে নিয়ে যাওয়ায় বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ভর্ৎসনা করেছিল হাইকোর্ট।

ওই দিন চার শিশুকেও খাস কামরায় নিয়ে তাদের বক্তব্য শোনে আদালত। পরে ৪ শিশুর বিরুদ্ধে বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানায় করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে আদেশ দেয় হাইকোর্ট। পাশাপাশি চার শিশুকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিতে বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেয়া হয়।

ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ শিশুকে আসামি করে গত বছরের ৬ অক্টোবর মামলা করা হয়। এ মামলায় ওই দিনই চার শিশুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ৭ অক্টোবর বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনায়েত উল্লাহ আদেশে চার শিশুকে যশোর পুলেরহাট শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠায়।

বিষয়টি নিয়ে বেসরকারি একটি টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারিত হয়। এই সংবাদ বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আসে ৮ অক্টোবর রাতে। এরপর রাতেই বিচারপতিরা নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করে ভার্চুয়াল আদালত বসিয়ে আদেশ দেন।

আদেশে ওই রাতেই চার শিশুর জামিনের বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে বরিশালের শিশু আদালতের বিচারকের প্রতি নির্দেশ দেয়। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে রোববার রায় প্রদান করা হয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.002748966217041