ছয় দশমিক পাঁচ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে একজন নিহত হওয়ার পরদিন ৫০টিরও বেশি আফটারশকে কেঁপে উঠেছে জাপান। এ ভূমিকম্পে ২৩ জন আহত হওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলের দিকে ইশিকাওয়া অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১২ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
কিয়োডো নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের সময় মই থেকে পড়ে গিয়ে ৬৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
শনিবার সকালে প্রায় ৫৫টি আফটারশক আঘাত হানে, যার মধ্যে কয়েকটি ছিল বেশ শক্তিশালী।
ভূমিকম্প পরবর্তী ভারী বৃষ্টি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ভূমিধসের কারণ হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা।
ভূমিকম্পের ফলে ঘরবাড়ি এবং একটি শিন্টো মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুক্রবার স্টেশনগুলোতে যাত্রীরা আটকা পড়ার পর ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হয়।
পূর্ব জাপান রেলওয়ে কো বলেছে, ইশিকাওয়া প্রিফেকচারের টোকিও এবং কানাজাওয়াকে সংযোগকারী বুলেট ট্রেনগুলো সাময়িকভাবে নিরাপত্তা পরীক্ষার জন্য থামানো হলেও কিছু বিলম্বের পর স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে।
জাপানে ‘গোল্ডেন উইক’ নামে পরিচিত সরকারি ছুটি চলছে, যখন অনেক লোক অবসর যাপন বা পরিবারের সাথে দেখা করার জন্য ভ্রমণে যান।
পারমাণবিক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের মতে, ভূমিকম্পের পর ওই এলাকায় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কোনো অস্বাভাবিকতা ছিল না।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শহর সুজু-র একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের ভেতরে আটকা পড়া দুজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রিফেকচারের কিছু বাসিন্দাকে তাদের কাঠের ঘর আংশিকভাবে ধ্বংস হওয়ার পর বৃষ্টিতে ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে দেখা গেছে।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অফ ফায়ার’ অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় জাপানে ভূমিকম্প সাধারণ ঘটনা। ২০১১ সালে সাগরের তলদেশে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পের পর সুনামিতে জাপানের প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার মানুষ নিহত বা নিখোঁজ হয়।