এবার ৯ হাজার ১২৯টি মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৮৩ দশমিক ১৩ শতাংশ পাস করেছে, যা অন্য সকল বোর্ডের চেয়ে বেশি। তবে শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বেশি মাদরাসা বোর্ডে। আবার এমন মাদরাসাও আছে, যেখান থেকে একজন পরীক্ষার্থীও পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। এবার ৫৯টি মাদরাসার সবাই ফেল করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ছিল ২৩৮ জন। এর মধ্যে ১৫টি মাদরাসার পরীক্ষার্থী একজন করে। আর দুজন করে পরীক্ষা দিয়েছে এমন মাদরাসার সংখ্যা ১৪টি। শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮টি এমপিওভুক্ত। বৃহস্পতিবার (৯ মে) দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন নিজামুল হক ।
এছাড়া, এমপিও না থাকলেও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত পাবনার নূরনগর দাখিল মাদরাসা, ময়মনসিংহের ভালুকার পালগাঁও ডিএস দাখিল মাদরাসা, সিরাজগঞ্জের দক্ষিণ পুস্তিগাছা বনানী দাখিল মাদরাসা , নীলফামারী সদরের বেড়াকুঠি বরুয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থী ছিল একজন।
মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম ছায়েফ উল্ল্যা বলেন, প্রথমে শূন্য পাস মাদরাসা প্রধানদের কাছে কারণ দর্শানোর জন্য বোর্ডে ডাকা হবে। স্বীকৃতপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি বাতিল ও এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের এমপিও বাতিলের সুপারিশ করা হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি তাদের স্বীকৃতিও বাতিলের সুপারিশ করা হবে।
তবে এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল মিলে মোট ১০৭টি প্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল করেছে। কারিগরির ৪৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শূন্য পাস। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে রাজশাহী বোর্ডে ১টি, যশোরে ১টি, বরিশালে ২টি এবং দিনাজপুরে ১টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
বিলুপ্ত ছিটমহল দাশিয়ার ছড়ায় নতুন প্রতিষ্ঠিত দাশিয়ারছড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে পাঁচ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা শেষ করলেও তাদের মধ্যে কেউই পাস করেনি। এ ছাড়া, নাটোরের গুরুদাসপুরের নাজিরপুর ইউনিয়নের চন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের (এসএসসি) ভোকেশনালের ২৩ শিক্ষার্থীর সবাই ফেল করেছে। প্রাতিষ্ঠানিক বাস্তব প্রশিক্ষণের নম্বর বোর্ডে জমা না দেওয়ার কারণে তারা সবাই ফেল করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বরিশাল বোর্ডের দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভোলার চরফ্যাশনের শশীভূষণ গার্লস হাইস্কুল থেকে ৯ জন ও পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালি উপজেলার চরগঙ্গা আদর্শ সেকেন্ডারি স্কুল থেকে ৪৩ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। এরা সবাই ফেল করেছে।