৫ থেকে ১১ বছর বয়সী স্কুল পড়ুয়া যেসব শিক্ষার্থী করোনার টিকা পায়নি শিগগির তারা স্কুলেই প্রথম ডোজ পাবে। আজ রোববার (২৫ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল মিটিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জাতীয় টিকা প্রয়োগ কমিটির সদস্যসচিব ডা. মো. শামসুল হক বলেন, সব স্কুলে টিকা দেওয়া হয়েছে। কিছু শিক্ষার্থী বাদ পড়েছে, দুটি কেন্দ্র নির্ধারণ করেছি যাতে কেউ বিভ্রান্ত না হয়। স্কুলে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়ার সময় বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, শিগগির দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান শুরু হবে। স্কুল ছুটি থাকায় শুরু করা যায়নি। ১ জানুয়ারি থেকে হয়তো শুরু হয়ে যাবে। তখন প্রথম ডোজের করোনার টিকা নিতে পারবে শিক্ষার্থীরা।
চীনে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সবাই সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) অধ্যাপক আহমেদুল কবির বলেন, চীনে শুধু ডিসেম্বরে ২৫ কোটি লোক আক্রান্ত হয়েছে। যে ভ্যারিয়েন্টটি এসেছে সেটি হলো বিএফ৭, যা বিএ৫’র সাব-ভ্যারিয়েন্ট। এটাকে বলা হয়, আর-১৮। আগে ভ্যারিয়েন্ট একজন থেকে ৪ জনকে আক্রান্ত করতে পারতো। আর-১৮ আক্রান্ত ব্যক্তি ১৮ জনকে আক্রান্ত করতে পারে। এর সংক্রমণের ক্ষমতা ৪ গুণ বেশি।
তিনি আরও বলেন, এর উপসর্গের ওমিক্রনের উপসর্গের সঙ্গে মিল আছে। ভারতেও এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। বন্দরগুলোতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের স্ক্রিনিং করার। হাসপাতাল প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া আছে। সবাই যেন টিকার চতুর্থ ডোজ নেন।
ফ্লাইট বন্ধের বিষয়ে বলেন, সিভিল এভিয়েশনের সঙ্গে কথা বলতে হবে। নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে আলাপ করা দরকার। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এখনো বিশ্বের কোথাও ফ্লাইট বন্ধ হয়নি।