৬২৫ কার্যদিবসের ৪৬৫ দিন অনুপস্থিত রোকেয়ার উপাচার্য

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার পর থেকে উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বেশির ভাগ সময় ক্যাম্পাসে না থাকায় ভোগান্তির অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। জরুরি প্রয়োজনে ঢাকায় গিয়ে কাগজপত্রে স্বাক্ষর নিতে হয় বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে  এ তথ্য জানা যায়।

খবরে আরো বলা হয়,  বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, “উপাচার্য কলিমউল্লাহ ২০১৭ সালের ১ জুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগ দেওয়ার পর থেকে ৬২৫ কার্যদিবসের মধ্যে মাত্র ১৬০ দিন ক্যাম্পাসে ছিলেন।”

এই হিসেবে তিনি ৪৬৫ দিন ক্যাম্পাসে যাননি।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, উপাচার্য দিনের পর দিন ক্যাম্পাসে না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “উপাচার্য ক্যাম্পাসে থাকেন না সে বিষয়টি সবার জানা।”

শিক্ষক-কর্মচারীরা জানান, বিশেষ কারণ ছাড়া ক্যাম্পাসে আসেন না উপাচার্য। সাধারণত সভা-সেমিনারের উদ্বোধন ও পরিচয়পত্র বিতরণসহ কিছু জাতীয় কর্মসূচিতে ক্যাম্পাসে আসেন তিনি। এবং সকালে এসে দুপুরে অথবা দুপুরে এসে রাতে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন তিনি।
উপাচার্যের দপ্তর জানিয়েছে, উপাচার্য কলিমউল্লাহ একাধিক বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব ধরে রেখেছেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, জরুরি প্রয়োজনে বিভাগীয় প্রধানের স্বাক্ষর নিতে অনেক শিক্ষার্থীকে ঢাকায় যেতে হয়েছে।

উপাচার্য কলিমউল্লাহ যোগ দেওয়ার পর অধিকাংশ সিন্ডিকেট সভা, শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড, কর্মকর্তা নিয়োগ বোর্ড ও কর্মচারী নিয়োগ বোর্ড ঢাকায় লিয়াজোঁ অফিসে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে অনেক শিক্ষক-কর্মচারী জানিয়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে, এই উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ক্ষেত্রে ব্যাপক রদবদল করেছেন এবং অনেককেই দুই থেকে চারটি পর্যন্ত প্রশাসনিক পদে বসিয়েছেন।

উপাচার্য বর্তমানে ঢাকায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন জনসংযোগ বিষয়ক কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, “মিটিং উপলক্ষে উপাচার্য রোববার ঢাকায় গেছেন। দুই দিন থাকবেন।”

এ বিষয়ে উপাচার্য কলিমউল্লাহর মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে বন্ধ পাওয়া গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সদস্য অধ্যাপক গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমরা বিষয়টি প্রত্যক্ষ করছি। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। আমরা রেজুলেশন আকারে বিষয়টি পেশ করব।”


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ - dainik shiksha বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি - dainik shiksha যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি - dainik shiksha তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই - dainik shiksha শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী - dainik shiksha বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0049641132354736