কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বিজ্ঞান অনুষদের ডিন পদে নিয়োগ ও ডিন অফিসের কার্যক্রমের ওপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিজ্ঞান অনুষদের ডিন নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দুর রহমানের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ গতকাল এ আদেশ দেন।
জানা যায়, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আবু তাহের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দীকে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন পদে নিয়োগ দেয়া হয়। এ নিয়োগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৬ অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে অধ্যাপকদের মধ্যে থেকে ডিন নিয়োগের কথা উল্লেখ থাকলেও তা লঙ্ঘনের অভিযোগে অধ্যাপক ড. সৈয়দুর রহমান রিট পিটিশন দায়ের করেন। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের দ্বৈত বেঞ্চ রুল জারি করেন এবং ডিন নিয়োগ ও ডিন অফিসের কার্যক্রমের ওপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দেন।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. সৈয়দুর রহমান বলেন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন নিয়োগের যে প্রক্রিয়াটি হয়েছে, তা সম্পূর্ণভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনবিরোধী। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ২২(৫) ধারা না মেনে ডিন নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমি একজন শিক্ষক হিসেবে আইনের লঙ্ঘন হতে দিতে পারি না। তাই আমি আইনি প্রক্রিয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমি এ বিষয়ে ডিন নিয়োগের আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। তারা এ বিষয়টি আমলে না নিয়েই সংশ্লিষ্ট পদে আইন লঙ্ঘন করেই নিয়োগ দিয়েছেন।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৬-এর ২২(৫) ধারায় উল্লেখ রয়েছে, ‘ভাইস চ্যান্সেলর সিন্ডিকেটের অনুমোদনক্রমে প্রত্যেক অনুষদের জন্য উহার বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপকের মধ্যে থেকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পালাক্রমে দুই বছর মেয়াদের জন্য ডিন নিযুক্ত করিবেন।’
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, আইন অনুসারেই ডিন পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।