৬ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার, ইবির প্রধান ফটকে তালা

ইবি প্রতিনিধি |

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় ছয় শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে প্রধান ফটকে তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহের উদ্দেশ্যে যাওয়া ক্যাম্পাসের বাসগুলো আটকা পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। 

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেন ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থীরা। 

এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, বহিষ্কারের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর জীবন নষ্ট করার উৎসব চলছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে পুনরায় সিদ্ধান্ত নেয়ার দাবি জানাই।

জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীকে র‌্যাগিং এবং মধ্যরাতে মাদকাসক্ত অবস্থায় চিকিৎসাকেন্দ্রে ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত আট শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজনকে স্থায়ী এবং তিনজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। অপর দুজনকে সতর্ক করা হয়েছে।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বিকেল ৪টার দিকে প্রধান ফটকে তালা দেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি পরিবেশ শান্ত রাখার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিকেল ৫টায় ৪০ মিনিটে আন্দোলন স্থগিত করেন তারা।

শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন খন্দকার বলেন, কমিটির দোওয়া তদন্ত প্রতিবেদন ভুয়া। অন্তত আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া উচিত ছিল। কর্তৃপক্ষের নেয়া এ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানাই। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আমজাদ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অযৌক্তিক। প্রক্টরের সঙ্গে কথা হয়েছে এটি প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অভিযুক্তরা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবে পরবর্তীতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
বাকী সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ একসঙ্গে : শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha বাকী সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ একসঙ্গে : শিক্ষা উপদেষ্টা আমি আশ্বাস দিচ্ছি, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha আমি আশ্বাস দিচ্ছি, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন : এহছানুল হক মিলন - dainik shiksha শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন : এহছানুল হক মিলন পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন ৪৯ হিন্দু শিক্ষক - dainik shiksha পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন ৪৯ হিন্দু শিক্ষক শিক্ষাগুরুর মর্যাদা কবিতাটি পাঠ্যবই থেকে বাদ দিয়েছিলেন কামাল চৌধুরী - dainik shiksha শিক্ষাগুরুর মর্যাদা কবিতাটি পাঠ্যবই থেকে বাদ দিয়েছিলেন কামাল চৌধুরী কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.011484861373901