৬ সমন্বয়কের নামে বিবৃতিটি সত্য নয়, দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়কের সই সম্বলিত প্রচারিত বিবৃতিটি সত্য নয় বলে দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ বিষয়ে একটি বিবৃতি সামাজিক সাইট ফেসবুকে প্রকাশিত হলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ দাবি করা হয়।

শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে সামাজিক সাইট টেলিগ্রামের এক প্ল্যাটফর্মে বিবৃতিটির স্ক্রিনশট পোস্ট করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে এ দাবি করা হয়। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে প্রচারিত বিবৃতি, যা সত্যি নয়
বিবৃতিতে যা লেখা আছে, তাহলো-

দেশের এই অস্থিতিশীল মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের পাশে যে সকল শিক্ষক এবং সাধারণ মানুষ এসে দাঁড়িয়েছেন, আমরা আপনাদের নিকট চিরকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, আমরা দৃঢ়চিত্তে বিশ্বাস করি দল-মত-নির্বিশেষে এই আন্দোলন আমাদের সকলের। কিন্তু আমাদের এই স্বাভাবিক আন্দোলনকে অস্বাভাবিক করে তোলার জন্য কিছু রাজনৈতিক দল উদ্ভট পরিস্থিতি তৈরি করছে, যার ফলশ্রুতি ঝরে গেল বহু প্রাণ।

আমরা আগেই দাবি জানিয়েছিলাম, আমাদের যে সকল সাধারণ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন, তাদের প্রত্যেকটি মৃত্যুর সঠিকভাবে তদন্ত করে যে সকল ব্যক্তি জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং যে সকল শিক্ষার্থীদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আটক করা হয়েছে, তাদের সকলকে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দিতে হবে এবং যে সকল প্রাণ ঝরে গিয়েছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার দায়ভার আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা বহন করবো না।
তারই পরিপ্রেক্ষতে আমাদের স্বাভাবিক আন্দোলনকে কেউ যাতে নিজদের স্বার্থে ব্যবহার করে যেন দেশে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে, সে জন্য আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আমাদের পরবর্তী সকল কর্মসূচি প্রত্যাহার করলাম।

সেইসাথে সরকারকে ৭ দিনের সময়সূচি বেঁধে দেওয়া হলো এই সময়ের মধ্যে হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় এনে বিচার করতে হবে এবং বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। যদি এই সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া হয়, পরবর্তীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে। সুতরাং সার্বিক স্বার্থে আমাদের এই মুহূর্তে থেকে আমরা আগামী ৭ দিনের জন্য প্রত্যাহার করছি।

এই বিবৃতিতে যাদের সই স্ক্যান করে বসানো হয়েছে, তারা হলেন- মো. নাহিদ ইসলাম, মো.সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, মো.আবু বাকের মজুমদার, আসিফ মাহমুদ, নুসরাত তাবাসসুম।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ভিকারুননিসার সেই ফৌজিয়া এবার ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে - dainik shiksha ভিকারুননিসার সেই ফৌজিয়া এবার ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে ১৮ দিনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি : উপাচার্য - dainik shiksha ১৮ দিনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি : উপাচার্য উপদেষ্টা আসিফ-নাহিদের ছাত্র সংগঠনের সব কার্যক্রম স্থগিত - dainik shiksha উপদেষ্টা আসিফ-নাহিদের ছাত্র সংগঠনের সব কার্যক্রম স্থগিত যারা আপনাদের সেবা করবে তাদের ভোট দেবেন: সারজিস - dainik shiksha যারা আপনাদের সেবা করবে তাদের ভোট দেবেন: সারজিস এখনো প্রস্তুত হয়নি একাদশের, পাঁচ বইয়ের পাণ্ডুলিপি - dainik shiksha এখনো প্রস্তুত হয়নি একাদশের, পাঁচ বইয়ের পাণ্ডুলিপি মাদরাসায় অনুপস্থিত থেকেও ১১ মাসের বেতন তুলেছেন শিক্ষক - dainik shiksha মাদরাসায় অনুপস্থিত থেকেও ১১ মাসের বেতন তুলেছেন শিক্ষক ৬৬ জন ছাত্রকে পাঁচচুলো করলেন শিক্ষক - dainik shiksha ৬৬ জন ছাত্রকে পাঁচচুলো করলেন শিক্ষক প্রশ্নফাঁসের তদন্ত নিয়ে সিআইডি ও পিএসসি মুখোমুখি - dainik shiksha প্রশ্নফাঁসের তদন্ত নিয়ে সিআইডি ও পিএসসি মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0027840137481689