৭ কোটি টাকা পেলেন কারিগরি-মাদরাসার সাড়ে ১২ হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

ঈদের আগে সারা দেশে কারিগরি ও মাদরাসা পর্যায়ের সাড়ে ১২ হাজার শিক্ষার্থী-শিক্ষক, ৪২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাতে ৭ কোটি টাকার অনুদান পৌঁছে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ। মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম ‌‘নগদ’-এর মাধ্যমে এ টাকা সরাসরি শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠানগুলোর অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

গতকাল রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।

এতে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের বিশেষ অনুদানখাতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ৭ কোটি টাকা দিয়েছে সরকার। এরমধ্যে মোট শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ হাজার ৫০০ জন এবং ৪২০টি কারিগরি ও মাদরাসা এ টাকা পাবে। একইসঙ্গে বিশেষ অনুদানের জন্য নির্বাচিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

যারা পাচ্ছে এ টাকা

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, মোট ১২ হাজার ৫০০ শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে এ অনুদানের টাকা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ৭০০ শিক্ষক-কর্মচারী পাবেন ১০ হাজার টাকা করে। তাদের জন্য বরাদ্দ ৭০ লাখ টাকা। ইবতেদায়ির (১ম থেকে ৫ম) ১ হাজার ৭৫০ শিক্ষার্থী ৩ হাজার টাকা করে মোট ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাবেন।

৬ষ্ঠ থেকে ১০ম (দাখিল ও ভোকেশনাল স্তর) পর্যন্ত ৬ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী ৫ হাজার টাকা করে মোট ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা পাবেন। এছাড়াও এইচএসসি (বিএম/আলিম/ডিপ্লোমা) পর্যন্ত ১ হাজার ৭৫০ শিক্ষার্থীকে ৬ হাজার টাকা করে মোট ১ কোটি ৫ লাখ টাকা দেয়া হবে। ফাজিল ও কামিল বা তদূর্ধ্ব শ্রেণি পর্যন্ত ৭৫০ জনকে সাত হাজার টাকা করে মোট ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে। 

এছাড়া ৪২০টি কারিগরি ও মাদরাসাকে ২৫ হাজার টাকা করে মোট ১ কোটি ৫ লাখ টাকা করে বিশেষ অনুদান দেয়া হয়েছে। নগদ-এর মাধ্যমে এ টাকা পাঠানো হচ্ছে। ঈদের আগে এই টাকা তারা পাবেন বলে আদেশে বলা হয়েছে। 

যেভাবে দেয়া হয় এ অনুদান

অনুদানের এ টাকা কারা পাবেন তার একটি নীতিমালা রয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত আবেদন নেওয়া হয়। আবেদন পাওয়ার পর তা যাচাই-বাছাই করে অনুদানের টাকা ছাড় করা হয়েছে।

নীতিমালায় থেকে জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রী এ তিন ক্যাটাগরিতে অনুদান দেয়া হয়। সরকারি ও বেসরকারি এমপিওভুক্ত এবং নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসা, দৈব–দুর্ঘটনা ও চিকিৎসার খরচের জন্য বিশেষ মঞ্জুরির অনুদান প্রাপ্তির আবেদন করতে পারেন।

এ ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী, অসহায়, অসচ্ছল ও মেধাবী, অনগ্রসর সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার পেয়েছে। এছাড়া দেশের সব স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বা এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মেরামত ও সংস্কার, আসবাব তৈরি, খেলাধুলার সরঞ্জাম ক্রয়, পাঠাগার উন্নয়ন ও প্রতিষ্ঠানকে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীবান্ধব করতে বিশেষ মঞ্জুরির অনুদানের আবেদন করে। তবে বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অনগ্রসর এলাকার অসচ্ছল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অগ্রাধিকার পায়। আর বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা দুরারোগ্য ব্যাধি বা দৈব–দুর্ঘটনার জন্য মঞ্জুরির আবেদন করতে পারেন।

এছাড়া দেশের সব স্বীকৃতি প্রাপ্ত বা এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মেরামত ও সংস্কার, আসবাবপত্র তৈরি, খেলাধুলার সরঞ্জাম ক্রয়, পাঠাগার উন্নয়ন ও প্রতিষ্ঠানকে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী বান্ধব করার জন্য বিশেষ মঞ্জুরির অনুদানের আবেদন করতে পারে। তবে বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অনগ্রসর এলাকার অসচ্ছল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অগ্রাধিকার পাবে।

যেভাবে আবেদন করতে হয়

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের এই অনুদান পেতে অনলাইনে আবেদন করতে হয়। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানের আর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিভাগীয় প্রধানের প্রত্যয়নপত্র আবেদনে সংযুক্ত করতে হবে। শিক্ষক-কর্মচারী ক্যাটাগরিতে আবেদনের ক্ষেত্রে চিকিৎসক সনদ ও দৈব দুর্ঘটনার স্বপক্ষের প্রমাণ সংযুক্ত করে আবেদন করতে হবে। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য অনুদানের আবেদনের ক্ষেত্রে ম্যানেজিং কমিটির প্রত্যয়ন সংযুক্ত করতে হবে। শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের অনুদান বাবদ বরাদ্দের টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বরাদ্দের টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়।

তালিকা দেখতে ক্লিক করুন :

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষা ডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা প্রাথমিকের সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে স্থগিত - dainik shiksha প্রাথমিকের সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে স্থগিত আন্দোলন স্থগিত তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের, ৭ দিনের মধ্যে কমিটি - dainik shiksha আন্দোলন স্থগিত তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের, ৭ দিনের মধ্যে কমিটি পাঠ্যবই নির্ভুল করা হচ্ছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha পাঠ্যবই নির্ভুল করা হচ্ছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের নির্দেশ ইউজিসির - dainik shiksha আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের নির্দেশ ইউজিসির কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে পদত্যাগ করেছেন সেই তিন বিতর্কিত বিচারপতি - dainik shiksha পদত্যাগ করেছেন সেই তিন বিতর্কিত বিচারপতি কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বিচার হওয়া উচিত: সলিমুল্লাহ খান - dainik shiksha ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বিচার হওয়া উচিত: সলিমুল্লাহ খান বিচারকের সামনে যে হুমকি দিলেন কামরুল - dainik shiksha বিচারকের সামনে যে হুমকি দিলেন কামরুল please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0062000751495361