আইসিটি, বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় ৬ বছর ধরে নিয়োগ পাওয়া ৭ হাজারের বেশি শিক্ষককে এমপিওভুক্তির চিন্তাভাবনা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে বার্ষিক অতিরিক্ত ব্যয় হবে ১৭৩ কোটি টাকা। তবে এ সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে অন্তত ২০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছে। তাদের সবাইকে এমপিওভুক্ত করা হলে ব্যয় বেড়ে দাঁড়াবে সোয়া চারশ’ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, স্বঅর্থায়নে চলার শর্তে সরকার দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় অতিরিক্ত শ্রেণী-শাখায় এসব শিক্ষককে নিয়োগের অনুমতি দেয়। তবে কিছু শিক্ষক ২০১৩ সালে নতুন কারিকুলামে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি), চারুকলার মতো বিষয় চালুর পর নিয়োগ পেয়েছেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এসএম ওয়াহিদুজ্জামান এ প্রসঙ্গে বলেন, ২০১১ সালের ১৩ নভেম্বর মন্ত্রণালয় থেকে অতিরিক্ত শ্রেণী-শাখা খোলার ব্যাপারে একটি অনুশাসন দেয়া হয়। তাতে বলা হয়েছিল, ওইসব শাখায় নিয়োগকৃত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দুই বছর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বহন করবে। এরপর সময়সীমা উল্লেখ না করে আরও একটি অনুশাসন দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তাদের এমপিওভুক্তির চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। তাই উল্লিখিত দুই নিষেধাজ্ঞার পর কত শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছেন তার হিসাব চলছে। পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ অনুযায়ী আর্থিক ব্যয়ের হিসাব বের করা হচ্ছে।
সর্বশেষ গত সপ্তায় মাউশি থেকে মাধ্যমিক স্তরের স্কুলে কর্মরত চার হাজার শিক্ষকের তালিকা পাঠানো হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। এতে বলা হয়েছে, এসব শিক্ষকের এমপিও (বেতন-ভাতা) দিতে হলে বছরে ৯১ কোটি ৮৪ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ব্যয় হবে। মাউশি মহাপরিচালকের পাঠানো ওই চিঠি অনুযায়ী, উল্লিখিত শিক্ষকের মধ্যে আইসিটি বিষয়ে সহকারী শিক্ষক ১ হাজার ৬৫৬, বিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষক ২৬৫ এবং অতিরিক্ত শাখায় ২ হাজার ২৯২ জন। এদের মধ্যে বিজ্ঞান ও অতিরিক্ত শাখার শিক্ষকদের বেতন-ভাতা স্কুলের তহবিল থেকে দেয়ার কথা। এছাড়া কলেজ শাখায় আইসিটি এবং বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক এক হাজার ৭৯৯ জন আছে। তাদের এমপিওভুক্তির জন্য বছরে সরকারের ব্যয় হবে প্রায় ৪০ কোটি টাকা। মাদ্রাসায় একই বিষয়ে সহকারী শিক্ষকের সংখ্যা ২ হাজার ৩৫৮ জন। তাদের পেছনে বার্ষিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৫১ কোটি ৫২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত চিহ্নিত ৭ হাজার ৩৭০ জনের পেছনে বছরে ব্যয় হবে অন্তত ১৭২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।