দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে একক ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের কথা জানিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সব বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য খসড়া অধ্যাদেশ তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়েও পাঠিয়েছিল ইউজিসি। তবে শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি।
সে কারণে এবারও আট বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি গুচ্ছের আলাদা ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে। তবে একক ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর এ বিষয়ে সভা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে। যদিও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা গুচ্ছে না নেয়ার পক্ষে শিক্ষকদের বড় অংশ।
গত বছরও তারা গুচ্ছভর্তির বিরোধীতা করেছিলেন। ফলে কৃষি গুচ্ছ থাকা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। যদিও এ বিষয়ে এখনো কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি কর্তৃপক্ষ। শিগগিরই এ বিষয়ে সভা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এবার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার দায়িত্বে থাকবে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, আমরা এখনো গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার পক্ষে আছি। তবে শিক্ষকদের চাপ আছে গুচ্ছে না থাকার পক্ষে। এ বিষয়ে কমিটির সভা হলে বলা যাবে, কীভাবে ভর্তি পরীক্ষা হবে।
জানতে চাইলে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেন, একক ভর্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত সরকার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। জানানোর পর আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। তবে গণমাধ্যম থেকে জেনেছি, এবার একক পরীক্ষা হবে না। সিদ্ধান্ত পেলে আমরা গুচ্ছের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গুচ্ছের পক্ষে। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে জানি না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ইউজিসির কাছে একক ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তাব চাওয়া হলেও অধ্যাদেশের খসড়া পাঠিয়েছিলো। কিন্তু তা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ সংসদ অধিবেশন না থাকলে রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থায় অধ্যাদেশ জারি করতে পারেন। এখন দেশে জরুরি অবস্থা নেই। সে জন্য প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য হয়নি।
পরে গত মাসের শেষে একক ভর্তি পরীক্ষা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান ইউজিসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। তবে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে বলে জানান।
কৃষি গুচ্ছের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে গত শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ১১৬ আসন ছিল। এ ছাড়া শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৯৮, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭৫, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪৩, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩১, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪৫ এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯০টি আসন ছিলো।