বয়স তার ৯০ ছুঁইছুঁই। এই বয়সে এসে পেলেন আধার কার্ড। এখানে বলা হচ্ছে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের কথা। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার অমর্ত্য সেনের আধার কার্ড তৈরির একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করে ভারতের ডাক বিভাগ। পাসপোর্টের পরই জাতীয় পরিচয়পত্র হিসেবে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি হলো এই আধার কার্ড। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
এতদিন আধার কার্ড ছাড়াই ভারতে বসবাস করছিলেন এ অর্থনীতিবিদ। সম্প্রতি তিনি পশ্চিমবঙ্গের বোলপুর মহকুমা প্রশাসকের কাছে আধার কার্ডের কথা জানান। তার এ কথা জানানো হয় ডাক বিভাগকে। সঙ্গে সঙ্গে আধার কার্ড তৈরির যাবতীয় প্রস্তুতি নেয় ডাক বিভাগ। এরপর ডাক বিভাগের একটি ইউনিট শান্তিনিকেতনের প্রতীচী নামক বাড়িতে গিয়ে ছবি তোলা থেকে, আঙুলের ছাপ নেওয়া- অর্থাৎ বায়োমেট্রিক সব কাজ সম্পূর্ণ করেন। একটি পোস্ট কার্ডে নেওয়া হয় তার স্বাক্ষর। সেখানে বাংলায় নিজের নাম লেখেন তিনি। পুরো প্রক্রিয়াটি ক্যামেরাবন্দি করে রাখা হয়। সে ফুটেজ দিয়ে তৈরি হয় একটি তথ্যচিত্র, যা বৃহস্পতিবার ডাক বিভাগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়।
অমর্ত্য সেনের মতো বিখ্যাত ব্যক্তির আধার কার্ড করে দিতে পেরে নিজেদের গর্বিত মনে করছেন বীরভূম জেলা ডাক বিভাগের সুপারিনটেনডেন্ট সুব্রত দত্ত। তিনি বলেন, আমাদের কাছে এটা গৌরবের।
সম্প্রতি অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ তোলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, তার নোবেল পুরস্কার পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
এ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেন পশ্চিবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়। এরপর বাবা প্রয়াত আশুতোষ সেনের উইল অনুযায়ী পুরো জমি অমর্ত্য সেনের নামে রেকর্ড করে দেয় রাজ্য ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শান্তিনিকেতন ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেন তিনি।